চলচ্চিত্র আমাদের জীবনের চিত্র, জীবনেরই প্রতিচ্ছবি – প্রধানমন্ত্রী

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চলচ্চিত্রে কেবল বিনোদন নয়, এর সঙ্গে সমাজ সংস্কার, শিক্ষা ও দেশপ্রেমের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে যে একটা সুপ্ত প্রতিভা আছে, সেই প্রতিভাটাকে বের করে নিয়ে এসে একটা বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, এটা কিন্তু চলচ্চিত্র করতে পারে। কাজেই সেই কাজটাই আমাদের করতে হবে বেশি করে। একদিকে শুধু বিনোদন না, বিনোদনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সমাজ সংস্কার, মানুষকে শিক্ষা দেয়া বা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং এই দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দেশের সিনেমা শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স স্থাপনের জন্য তাঁর সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটা এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সিনেমা শিল্প ছিল এ্যানালগ যা আমি ডিজিটাল করতে চাই। আমরা এই লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। আমি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাই।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে জমকালো আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পীদের সর্বোচ্চ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার ভার্চুয়ালি প্রদান করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিনেমাকে আমাদের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মানুষের বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১ হাজার কোটি টাকার একটা ফান্ড তৈরি করে রেখেছি। আমি চাই আমাদের একেবারে জেলা-উপজেলা সব জায়গাতেই এই সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হোক। সেখানে যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে অনেক বার্তা পৌঁছে যায়। তাছাড়া ইতিহাসের বার্তাবাহক হিসেবেও কিন্তু চলচ্চিত্র, সেটা ইতিহাসকে ধরে রাখে। অনেক অজানাকে জানার সুযোগ করে দেয়। অনেক হারিয়ে যাওয়া ঘটনাও সামনে নিয়ে আসে এবং যা জীবনের সঙ্গে মিশে যায়। আমাদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বা সমাজের অনেক ধরনের অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলা দূর করতেও কিন্তু এই চলচ্চিত্র বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, আমরা চলচ্চিত্রের জন্য আর্কাইভ এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। পাশাপাশি পুরনো সিনেমাগুলো ডিজিটালাইজড করে সেগুলোকেও আবার নতুনভাবে উপস্থাপন করা দরকার। সে পদক্ষেপও আমরা সীমিতভাবে নিয়েছি, কিন্তু আমি মনে করি এ ধরনের পদক্ষেপ আরও নেয়া দরকার। আমাদের যত পুরনো সিনেমা রয়েছে সেগুলোকে ডিজিটালাইজড করে নতুন আঙ্গিকে নিয়ে আসতে হবে। যেন সেগুলো মানুষের কাছে সহজে উপস্থাপন করা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ এর পুরস্কার প্রাপ্ত ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছে ‘গোর (দ্য গ্রেভ)’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্র। গোর (দ্য গ্রেভ) যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ প্রযোজক ছিলেন অঞ্জন চৌধুরী।
চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা’ লাভ করেছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম (আনোয়ারা) এবং অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। ‘গোর’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন গাজী রাকায়েত। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সিয়াম আহমেদ সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন এবং ‘গোর’ চলচ্চিত্রের জন্য দীপান্বিতা মার্টিন ২০২০ সালের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য ফজলুর রহমান বাবু এবং ‘গ-ি’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অপর্ণা ঘোষ। ‘বীর’ ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান মিশা সওদাগর। ‘গন্ডি’ ছবির জন্য সেরা শিশু শিল্পীর পুরস্কার জিতেছেন মুগ্ধতা মোর্শেদ ঋদ্ধি।
‘হৃদয় জুড়ে’ ছবিতে ‘বিশ্বাস যদি যায়রে’ গানের জন্য বেলাল খান শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রয়াত মোঃ সাহিদুর রহমান। সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল (‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্র) এবং দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনুর মনির কোনাল যৌথভাবে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘বীর’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন।
সৈয়দ আশিক রহমান পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আড়ং’ শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন। অন্য পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- কবির বকুল (সেরা গীতিকার), মোঃ মাহমুদুল হক ইমরান (সেরা সুরকার), গাজী রাকায়েত (গল্প), গাজী রাকায়েত (চিত্রনাট্যকার), ফখরুল আরেফিন খান (সংলাপ), শরিফুল ইসলাম (সম্পাদনা), উত্তম কুমার গুহ (সেরা শিল্প নির্দেশনা), পঙ্কজ পালিত এবং মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (সম্মিলিতভাবে সেরা চিত্রগ্রাহক), মোঃ শাহাদাত হাসান বাধন (সেরা শিশু শিল্পী বিভাগে বিশেষ পুরস্কার), কাজী সেলিম আহমেদ (সাউন্ড ডিজাইনার), এনামতারা বেগম (পোশাক) এবং মোহাম্মদ আলী বাবুল (মেকআপ)। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বিশিষ্ট অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র আমাদের জীবনের চিত্র, জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। সমাজ সংস্কারে এই চলচ্চিত্র বিরাট অবদান রাখতে পারে, যা মানুষের মনে দাগ কাটে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র অনেক বার্তা দিয়ে যায় এবং ইতিহাসের বার্তাবাহক হিসেবেও কাজ করে। যেটা ইতিহাসকে ধরে রাখে। অনেক অজানাকে জানার যেমন সুযোগ করে দেয় তেমনি অনেক হারিয়ে যাওয়া ঘটনাকেও সামনে নিয়ে আসে। সমাজের অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খলতা দূর করতেও এই চলচ্চিত্র ভূমিকা রাখতে পারে। আবার এই চলচ্চিত্রে মাধ্যমেই দেশ ও জাতির প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা বা দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়। কাজেই সেদিক থেকে চলচ্চিত্রের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
আমাদের সীমিত সুযোগ ব্যবহার করে দেশে উন্নত মানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় সংশ্লিষ্ট শিল্পী কলাকুশলী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। সিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ না হলেও বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানে বসে বা সুযোগ পেলে তিনি দেশের চলচ্চিত্র দেখেন এবং তাঁর ভাল লাগে বলেও নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণের যে সুযোগ রয়েছে তাকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আমি এই আহ্বানই জানাবÑ আমাদের স্বাধীনতা অর্জন, গণমানুষের যে আত্মত্যাগ এবং আমাদের এগিয়ে চলার পথটা যেন মানুষের সামনে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ যেন আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারে পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম যেন নিজেদের জীবনকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে সেভাবেই আপনারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেনÑ সেটাই আমি চাচ্ছি। তিনি পুরস্কার বিজয়ী শিল্পী ও কলা-কুশলীদের অভিনন্দন জানান এবং আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পী আনোয়ারার শারীরিক অসুস্থতার সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন এবং প্রয়োজনে সবরকম সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজে উপস্থিত হতে পারেননি আনোয়ারা। তাঁর হয়ে ড. হাছান মাহমুদের হাত থেকে পুরস্কার নেন মেয়ে চিত্রনায়িকা মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে এই ট্রাস্টকে আরও সমৃদ্ধ করায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি আমাদের বহু চিত্রশিল্পী বা চলচ্চিত্র শিল্পীরা বা অন্যান্য সংস্কৃতিসেবী বা আমাদের খেলাধুলার যারা যখন একটু বয়োবৃদ্ধ হয়ে যায় বা অসুস্থ হয়ে পড়ে সকলের একটা করুণ অবস্থা হয়। তাই আমি চাই যারা বিত্তবান, তাঁরা এই ফান্ডে আরও বেশি করে টাকা রাখেন।’
‘আজীবন সম্মাননা’ লাভকারী অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করার সময় তাঁর কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জয় বাংলা শ্লোগান অনেকদিন হারিয়ে গিয়েছিল। যে শ্লোগান দিয়ে লাখো মানুষ বুকের রক্ত দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তেমনই একজনের মুখে শ্লোগানটি শুনে সত্যিই আবারও মুগ্ধ হয়েছি। তাঁকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাঙালী মানেই শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, এই নিয়েই আমাদের জাতিসত্তা। এটা আরও বিকশিত হোক সেটাই আমি চাই।
চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলা-কুশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যাঁরা শিল্পী, কলা-কুশলী যারাই আছেন, তাঁরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন, আমাদের গণমানুষের যে আত্মত্যাগ এবং আমাদের এগিয়ে চলার পথ, সেই পথটা যেন মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন হয় এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারে, আর আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বা নতুন প্রজন্ম, তারা যেন নিজেদের জীবনকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে, সেভাবেই আপনারা শিল্পগুলোকে তৈরি করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন, সেটাই আমি চাচ্ছি।’
সভাপতির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে চলচ্চিত্র শিল্প বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে, জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই চলচ্চিত্র শিল্প শুধু স্বর্ণালি দিনই ফিরে পাবে না, বিশ্ব দরবারে স্থান করে নেবে এ প্রত্যাশা আমার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন যেমন হয়েছে, তেমনি মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত জাতি গঠন করার লক্ষ্যেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ প্রয়োজন, চলচ্চিত্র শিল্প সেক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যাপিত জীবনের উঠে আসে চলচ্চিত্রে। তাই সিনেমা হচ্ছে জীবনেরই ক্যানভাস। সে কারণেই এই শিল্পমাধ্যমটির পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। আর সেই উপলব্ধি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে এফডিসি বা চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন সময় এসেছে এই শিল্পমাধ্যমকে এগিয়ে নেয়ার। কারণ সংস্কৃতির মাধ্যমেই জঙ্গীবাদ, মৌলবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চলচ্চিত্রশিল্পীরা।