সিরিজে সমতা ফেরালো দক্ষিণ আফ্রিকা

11

স্পোর্টস ডেস্ক :
সেঞ্চুরিয়নে ৩৮ রানের ব্যবধানে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালদের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ জিতে নেয়ার। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা আর সম্ভব হলো না।
বরং, বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য ৩৭.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই টপকে গেলো প্রোটিয়ারা। ৭৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথমে ব্যাট করে ৩১৪ রান সংগ্রহ করেছিলো বাংলাদেশ। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে রান ওঠে আরো বেশি। এ কারণে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হলো।
ব্যাটাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করেন। ৩৪ রানেই সেরা ৫ জন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। তামিম, লিটন, সাকিব, ইয়াসির কিংবা মুশফিক- কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করেছিলেন। তবে ২৫ রান করে তিনিও বিদায় নেন। দলের রান তখন ৯৪। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে একটা সম্মানজনক স্কোরের কাছাকাছি পৌঁছায় বাংলাদেশ। দ্রুব ১০৭ বল খেলে করেন ৭২ রান। মিরাজ করেন ৩৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৪ রান।
জবাব দিতে নেমে রীতিমত টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করতে শুরু করেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। সামনে আইপিএলের জন্য যেন নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন এই প্রোটিয়া ওপেনার।
২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডি কক। ৮টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং জানেমান মালান।
মেহেদী হাসান মিরাজ ভাঙলেন এই উদ্বোধনী জুটি। ৮৬ রানের মাথায় তার ঘূর্ণি বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান জানেমান মালান। ৪০ বলে ২৬ রান করেছিলেন তিনি।
মিরাজের দেখাদেখি উইকেট নেয়ার দায়িত্ব দেন সাকিব আল হাসানও। বোলিংয়ে এসেই তিনি ফিরিয়ে দেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা কুইন্টন ডি কককে। ৪১ বলে ৬২ রান করেছিলেন ডি কক। এরপর ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন প্রোটিয়া এই উদ্বোধনী ব্যাটার। ৯টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মেরেছিলেন তিনি।
এরপর অবশ্য অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং তিন নম্বরে নামা কাইল ভেরাইনির ব্যাটে বাকি কাজটা বেশ ভালোভাবেই সেরে নিচ্ছিল প্রোটিয়ারা। তবে প্রোটিয়াদের দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় আউট হন টেম্বা বাভুমা। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে তিনি আফিফ হোসেনের বলে ক্যাচ দেন শরিফুল ইসলামের হাতে।
কাইল ভেরাইনি শেষ পর্যন্ত ৭৭ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কার মার মারেন ২টি। রাশি ফন ডার ডুসেন অপরাজিত থাকেন ৮ রান করে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ধ্রুব সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। ৩৮ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ।