আখালিয়া থেকে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, কথিত স্বামী গ্রেফতার

7

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আখালিয়া এলাকা থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াপাড়া বন্ধন-সি/১১-এর শামীম আহমদের কলোনির একটি কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে তাসনিয়া আক্তার সারা (২২) নামের ওই যুবতীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা-সারা আত্মহত্যা করেছেন। নিহত সারা সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার সাকিতপুর গ্রামের নুনু মিয়ার উরফে নানু মিয়ার কন্যা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার কথিত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে গত ৪ বছর ধরে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বাসায় রেখে তাসনিয়া আক্তার সারা নামের যুবতীর সঙ্গে ‘লিভ টুগেদার’ করে আসছিলেন কথিত স্বামী আলমগীর হোসেন (৩৪)। যদিও তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তবে গোমর ফাঁস হয়ে গেছে সারার আত্মহত্যার পর।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমশিনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার সুরুজ মিয়ার পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৪) সারাকে ২০১৮ সাল থেকে স্ত্রী পরিচয়ে সিলেটের বিভিন্ন বাসায় রেখে ‘শারীরিক মেলামেশা’ করে আসছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিবাহ হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আখালিয়া নোয়াপাড়া বন্ধন-সি/১১-এর শামীম আহমদের কলোনির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সারাকে রাখেন আলমগীর। এখানে তিনি মাঝে মাঝে আসতেন এবং সারার সঙ্গে রাত কাটাতেন।
অপরদিকে, শুক্রবার দিনে সারার স্বামী পরিচয়ধারী আলমগীর হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তিনি বারবার ফোন করলেও আলমগীর হোসেন ফোন রিসিভ না করে একসময় ফোন বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে আলমগীর হোসেন বিকেল ৪টার দিকে সারার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না করায় আলমগীর হোসেন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শামিম আহমদের কলোনিতে এসে সারার কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে বাসার মালিকসহ আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। পরে ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সারার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জালালাবাদ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সারার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনার বিষয়ে বিবাহবহির্ভূত ভাবে সারাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে ধর্ষণ করাসহ নানাভাবে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার দায়ে আলমগীর হোসেনে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। তাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমশিনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।