ওসমানীনগরে কলেজে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষক-কর্মচারীরা

3

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরে তাজপুর ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন এবং দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশুতোষ রঞ্জন দাসকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন একই কলেজের প্রভাষক আবুল খায়ের, আমিনুল ইসলাম, শাহীন আলম ও আশরাফ আলী। বুধবার দুপুরে তাজপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের দরজা ভাংচুর এবং ছুরিকাঘাতের ঘটনার বৃহস্পতিবার কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন হয়। স্টাফ কাউন্সিলের সভায় সভাপত্বি করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: মনু মিয়া। কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় ক্লাসের সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের যথাযথ নিরাপত্তার পরিবেশ ফিরে না আসা পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশসহ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক এক সপ্তাহের জন্য কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংঘর্ষে গুরুতর আহত উপজেলার মোল্লা পাড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র তাজপুর কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী আব্দুল মতিন (২১) সম্প্রতি তাজপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে কৌশলে ছাড়পত্র নিয়ে সিলেট সরকারী কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার দুপুরে মতিন কলেজ ক্যাম্পাসে এসে কাটাকাটির জের ধরে তাজপুর কলেজের ডিগ্রি ৪র্থ বর্ষের শিক্ষর্থী মটিহানি গ্রামের মুধু মিয়ার পুত্র উজ্জ্বল মিয়ার হাতে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় উজ্জ্বল মিয়া অনান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে আব্দুল মতিনকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ভাবে অধ্যক্ষের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আব্দুল মতিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। অধ্যক্ষের কক্ষ ও অফিস কক্ষের কম্পিউটাসহ বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুল মতিনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: মনু মিয়া বলেন, কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের সভায় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।