এসএমপির মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা

9

স্টাফ রিপোর্টার :
এসএমপি’র মার্চ মাসের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এসএমপি পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভা এবং দুপুর সাড়ে ১২ টায় এসএমপি হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনার পৃথক সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ।
কল্যাণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, এসএমপি‘র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) জনাব পরিতোষ ঘোষ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) তোফায়েল আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ সোহেল রেজা পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার সিটিএসবি জনাব ইমাম মুহাম্মদ শাদিদ সহ সকল অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, আর আই পুলিশ লাইন্স, বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সগণ।
পুলিশ কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত গ্রহণসহ শীঘ্রই তা সমাধানে আশ্বস্ত করেন। তিনি বিগত মাসে পুলিশি কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানান। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ নির্দেশিত পুলিশিং, পুলিশের ইমেজ, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী, শৃঙ্খলা-ড্রেসকোড বজায় রেখে পেশা দায়িত্বের সাথে ডিউটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ভাল কাজের জন্য যেমন পুরস্কার প্রদান করা হয় তেমনি কোন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।
এদিকে দুপুরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত সকল উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, সহকারী পুলিশ কমিশনারগণ ও অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ তাদের থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তদন্তাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য এসএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার মো: নিশারুল আরিফ। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিগণ আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় মূলতবী মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, রেজিস্ট্রার-পত্র হালনাগাদ রাখা, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগ ও মামলা তদন্তে বিজ্ঞ আদালত এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিট এর সাথে সার্বিক সমন্বয় রাখা, ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক যথাযথ ভাবে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেয়া সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিগত মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারগণ হলেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আজবাহার আলী শেখ পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) ইয়াহিয়া আল মামুন, সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাইন উদ্দিন খান (দক্ষিণ সুরমা থানা), ওসি মোঃ নাজমুল হুদা (জালালাবাদ থানা), ইন্সপেক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম (পুলিশ লাইন্স, সদর ও প্রশাসন), ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইয়াছিন (তদন্ত, কোতোয়ালি থানা), ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহমুদুর রহমান (ডিবি), ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মারফত আলী (প্রসিাকিউশন), টিআই মোহাম্মদ সুমন জাহিদ লোবেল (ট্রাফিক বিভাগ), এসআই মোঃ গোলাম গাউস চৌধুরী (পুলিশ লাইন্স, সদর ও প্রশাসন), এসআই আব্দুস সালাম (ডিবি), এসআই মোঃ জাকির হোসেন (প্রসিকিউশন), এসআই সোহেল রানা (দক্ষিণ সুরমা থানা), মোঃ শাহিন কবির (ট্রাফিক বিভাগ), এসআই ফজলুর রহমান (সিটিএসবি), এএসআই মোঃ শেখ সাদী (দক্ষিণ সুরমা থানা), এএসআই গৌর চন্দ্র রায় (সদর ও প্রশাসন), এটিএসআই এমদাদুল হক (ট্রাফিক বিভাগ), এএসআই মোঃ ইউসুফ সরকার (সিটিএসবি), ড্রাইভার নায়েক/মোঃ ইউছুফ আলী (মটরযান শাখা, সদর ও প্রশাসন)। এছাড়াও বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয় এসআই মোঃ আসাদুজ্জামান (জলালাবাদ থানা) ও মাহফুজ হাসান তান্নাকে।