বড়লেখায় মুদির দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

3

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অগ্নিকান্ডে একটি সেমিপাকা দোকান পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের সাইডিংবাজারে ভাই ভাই ভেরাইটিজ স্টোর নামে মুদি দোকানে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক আব্দুল্লাহ কাজিমের ধারণা, কেউ হয়তো শক্রতা করে তার দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তার দাবি, আগুনে দুটি ফ্রিজ ও একটি টিভিসহ দোকানের বিভিন্ন মালামাল পুড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে তিনি থানায় জিডি করেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে সকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন ও থানার এসআই জাহেদ আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান দোকান মালিক আব্দুল্লাহ কাজিম। রাত অনুমানিক তিনটার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে মুঠোফোনে দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনি দোকানে ছুটে এসে দেখেন দোকানে আগুন জ্বলছে। স্থানীয়রা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই আগুনে দোকানের দুটি ফ্রিজ ও একটি টিভিসহ দোকানের বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।
দোকান মালিক আব্দুল্লাহ কাজিম শুক্রবার সকালে বলেন, গত রাত পৌনে দুইটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। দোকান বন্ধ করার আগে ভালোভাবে দেখে বন্ধ করেছি। রাত তিনটার দিকে দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। আগুনে দোকানের দুটি ফ্রিজ ও একটি টিভিসহ দোকানের বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। রাতে দোকানের মেইন সুইচও বন্ধও করে বাড়িতে গিয়েছি। বিদ্যুতের বোর্ড যেদিকে সেদিকেও আগুন লাগেনি। দোকানের যেদিক বেশি পুড়েছে সেদিকের টিন কিছুটা ফাঁকা দেখে মনে হচ্ছে, কেউ হয়তো এদিক থেকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন ব্যাংক-এনজিও থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা লোন তুলে ব্যবসা শুরু করেছি। দোকানের আয় দিয়ে আমার পুরো পরিবার চলতো। কিন্তু এখন তো সব শেষ হয়ে গেল। আগুন আমাকে নি:স্ব করে দিল। এখন কীভাবে চলব, ঋণ পরিশোধ করবো তা ভাবতেই চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি।
বড়লেখা থানার এসআই জাহেদ আহমদ বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শামীম মোল্লা শুক্রবার সকালে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরণা করা হচ্ছে।