জালালাবাদ গ্যাসের ৬ষ্ঠ দফা উচ্ছেদ অভিযান, ৩৪ কিমি: পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার

9
জালালাবাদ গ্যাসের ৬ষ্ঠ দফা উচ্ছেদ অভিযানের একাংশ।

জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন উচ্চচাপ বিশিষ্ট সঞ্চালন গ্যাস পাইপ লাইনের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৩৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের ৬ষ্ঠ দফা অভিযানে ২ মার্চ বুধবার ৮কিমি: অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারসহ ৬ দফা অভিযানে মোট ৩৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার করা হয়। বিগত ৫টি অভিযানেও অবৈধভাবে নির্মিত সীমানা প্রাচীর, দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ প্রায় ৬৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আজ ২ মার্চ বুধবার সকালে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ রোডের মোগলাবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। পরবর্তীতে মোগলাবাজার রোডের খালেরমুখ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। ফেঞ্চুগঞ্জ-দেবপুর উচ্চচাপ বিশিষ্ট ৪০ কি: মি: গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত কয়েক শত একর ভূমি রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ৩৪ কিমি: পাইপ লাইনের উপর অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ি, দোকান কোঠা সহ বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ ২০২১, ২৬ আগষ্ট/২০২১, ১৫ সেপ্টেম্বর/২০২১, ১ নভেম্বর/২০২১ এবং ২ নভেম্বর/২০২১ মোট ৫ দফা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সকল অভিযানের মাধ্যমে ২৬ কিমি: পাইপলাইনের ভূমি অবৈধ পাইপ লাইন দখলমুক্ত করা হয়। ২ মার্চ/২০২২ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দক্ষিন সুরমা উপজেলা সহকারী কমিমনার ভূমি মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও জালালাবাদ গ্যাসের টাস্কফোর্স এর সদস্য সচিব মো. আমিরুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ জালালাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে স্থাপিত বসত বাড়ি উচ্ছেদ সম্পর্কে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চচাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধিবর্হিভূত। এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় আরও অভিযান পরিচালিত হবে। এ অভিযানের পূর্বে বছরখানেক সময় ধরে কয়েকবার তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা তা আমলে নেননি।
উদ্ধার অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মহাব্যবস্থাপক মন্ধসঢ়; জুর আহমদ চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক এবিএম শরীফ, মহাব্যবস্থাপক মো: শহিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাকির, ডিজিএম মো. আব্দুল মুকিত, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক নিতাই চন্দ্র পাল, ব্যবস্থাপক ফজলুল হক, ব্যবস্থাপক ওয়েছ আহমদ, উপ-ব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, উপ-ব্যবস্থাপক মো. সুহেদুর রহমান, সহকারী কারিগরী কর্মকর্তা, রেজাউর রহমান চৌধুরী, আইন কর্মকর্তা ছাদেকুন নুর চৌধুরী, সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী, মো. আ: সহিদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
সার্বিক বিষয়টি জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব আহমদ মতিন-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি