সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ কানাইঘাটে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভূমি দখলচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ

4
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন কানাইঘাট উপজেলার বানীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ানা চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল কাদির এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভূমি দখলচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ করেছেন উপজেলার বড়দেশ উত্তর গ্রামের কয়ছর উদ্দিনের স্ত্রী রেজওয়ানা চৌধুরী। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ভূমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় আব্দুল কাদির এবং তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাদের পরিবারের ৫ জনকে গুরুতর আহত করার পর তারাই উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজওয়ানা বলেন, “বড়দেশ উত্তর গ্রামে আস আদুল উলুম কওমী মাদরাসার পাশেই আমাদের ক্রয়কৃত ভূমি রয়েছে। উক্ত ভূমির উপর দিয়ে মাদরাসায় যাতায়াত করেন ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ। একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় যাতায়াতে আমরা কোনো বাধা প্রদান করিনি। কিন্তু বর্তমানে এই মাদরাসার শিক্ষক বড়দেশ দক্ষিণ খালোপার গ্রামের মৃত আব্দুস শাকুরের পুত্র আব্দুল কাদিরসহ তার লোকজন আমাদের স্বত্ব দখলীয় ভূমির কিছু অংশ মাদরাসার রাস্তার নামে জোরপূর্বক দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি মাদরাসার অদূরে আমাদের ভূমির উপর নির্মিত পুকুরটিও দখলে নিতে চাচ্ছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আব্দুল কাদিরের নেতৃত্বে তারা দলবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ভূমি দখল করতে আসে। সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী কয়ছর উদ্দিন ও ভাসুর সিরাজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বাধা প্রদান করেন। এ সময় আব্দুল কাদির তার ভাই লোকমান মিয়া, আলিম উদ্দিন ও সুলতান আহমদের অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার স্বামী কয়ছর উদ্দিন ও আমার ভাসুর সিরাজ উদ্দিনকে রক্তাক্ত আহত করে। তাদের চিৎকার শুনে আমার শ^শুর জওয়াহির আলী, আমাদের আত্মীয় জলাল উদ্দিন বকুল, তারেক আহমদ, বাবুল আহমদ এগিয়ে আসলে আব্দুল কাদিরের সহযোগী শুয়াইব আহমদসহ অন্য সহযোগীরা তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জলাল উদ্দিন বকুল, তারেক আহমদ এবং আমার স্বামী বোন রেহানা আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে আমরা কানাইঘাট থানায় নিয়ে গেলে ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, আগে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরদিন মামলা দায়ের করতে আমি কানাইঘাট থানায় গেলেও নানামুখী চাপ আছে জানিয়ে মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিতে কানাইঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রেজওয়ানা আরও বলেন, আমার শ^শুর যার বয়স ৮০ বছরের উপরে সেই বয়োবৃদ্ধ মানুষটিকে ঘটনার দিন আব্দুল কাদিরের ভাই লোকমান মাদরাসায় আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া আমার স্বামী কয়ছর উদ্দিননের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে কাদির। রেজওয়ানা বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারি। তাই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।