ফের করোনা বেড়ে যাওয়ায় শামসুদ্দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ

10

স্টাফ রিপোর্টার :
ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা কার্যক্রম। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়  মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরআগে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় গত মাসের শুরুতে হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগ সেবা চালু করা হয়েছিলো।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সিলেটের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ। এ অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে সিলেট করোনা ডেডিকেটেড চিকিৎসাকেন্দ্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে বন্ধ করা হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা। দেড় বছরের বেশি সময় পর চলতি গত জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হয়েছিল।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে সেবা দেওয়া শুরু করে। এরপর থেকে করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আনা রোগীদের অবিরাম চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালটিতে। গত অক্টোবরের পর থেকে সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় হাসপাতাল ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। এই অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেদিন থেকে শামসুদ্দিন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ (নারী-পুরুষ), সার্জারি, গাইনি এবং ডেন্টাল বিভাগে রোগী দেখার মধ্যে দিয়ে বহির্বিভাগ চালু হয়। পর্যায়ক্রমে দন্ত বিভাগ, চর্মরোগ বিভাগ, শিশু বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগ খুলে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করা হলো বহির্বিভাগ।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালটিতে ফের করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই মঙ্গলবার থেকে বহির্বিভাগ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে আগের মতো করোনা রোগীদের জন্য ১০০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এ মুহুর্তে ৫৫ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ১০ জন রোগী আইসিইউতে। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থাই সংকটপূর্ণ।
ডা. মো. মিজানুর রহমান আরও জানান, ২০২০ সালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের শুরুর সময় হাসপাতালটিতে কোনো আইসিইউ সুবিধা ছিলো না। ছিলো না সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ ও ১০ হাজার লিটারের একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবাও রয়েছে এই হাসপাতালে। তাই করোনা রোগীদের সকল সেবাই এখন মিলছে এই শামসুদ্দিন হাসপাতালে।