অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না – প্রধানমন্ত্রী

3
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে মিরপুর সেনানিবাসস্থ শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) এর “ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২১-২০২২” এর গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘রোল মডেল হিসেবে’ বিশ্ব দরবারে যে মর্যাদা পেয়েছে তা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের অগ্রগতির অদম্য গতি কেউ থামাতে পারবে না, কারণ এটি বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠেছে। এই মর্যাদা বজায় রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে সকলকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আজকে স্বাধীন দেশ হিসেবে এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা আর কখনও কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না, সেভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্সের ২০২১-২০২২ গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে অনেক নেতিবাচক কথা ছিল। তবে এখনও কিছু কিছু লোক আছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বদনাম করতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমনে আমরা যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তার ফলে আজকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
তিনি বলেন, ঠিক ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পর যে সম্মান আমরা আন্তর্জাতিকভাবে পেয়েছিলাম, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যে সম্মান আমরা হারিয়েছিলাম, আজকে আবার সেই সম্মান আমরা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
ডিএসসিএসসি কমাড্যান্ট মেজর জেনারেল মোঃ জুবায়ের সালেহীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। এবারে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১৮টি দেশের ৪৭ জন বিদেশী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫১ জন পিএসসি ডিগ্রী লাভ করেছে। ডিএসসিএসসি এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর মোট ১২৮টি কোর্স পরিচালনা করেছে এবং ৫ হাজার ৬৮৬ জনকে ডিগ্রী প্রদান করেছে। ৪৩টি দেশের ১ হাজার ২৫৫ জন অফিসার এখান থেকে ডিগ্রী লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই, আর ২০৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষ আমরা উদ্যাপন করব। কাজেই আমার একটাই আবেদন থাকবে আমাদের নবীন ট্রেনিংপ্রাপ্ত অফিসারদের কাছে, ’৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। সবসময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে এবং দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হতে হবে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ^ দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী করোনাস পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমি অনুরোধ জানাচ্ছি করোনার আবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে কাজেই সকলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন। নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন।
নিজেকে সেনা পরিবারের একজন সদস্য বলেই মনে করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল। কামাল মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ প্রথম যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পরে তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধান সেনাপতির এডিসি হিসেবে আমাদের সরকার দায়িত্ব দেয় এবং সেই দায়িত্ব সে পালন করে। আর জামাল সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আমার চাচা শেষ আবু নাসেরের সঙ্গে ৯ নম্বর সেক্টারে যুদ্ধ করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে আমার মা, জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল এবং আমি; আমরা গ্রেফতার হয়েছিলাম। শেখ জামাল গেরিলা কায়দায় সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে গিয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তার ওই বন্দিখানা থেকে বের হয়ে যাওয়াটা মুক্তিযুদ্ধে যখন ট্রেনিং দেয়া হয়, তখন সেটা খুব ভালভাবে প্রচার করা হতো এবং প্রশিক্ষণের একটা অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরে ব্রিটিশ রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি, স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাধীনতার পর সে সরাসরি সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেছিল। ছোট ভাই শেখ রাসেলের ইচ্ছার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার একটা আকাক্সক্ষা ছিল ছোটবেলা থেকে, যে সে বড় হলে সামরিক বাহিনীর অফিসার হবে। কিন্তু সেই আকাক্সক্ষা তার আর পূরণ হয়নি।
২০০৮ থেকে পরপর তিন দফা নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়নের নানাবিধ পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি। ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। এ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ’৯৬ সালে যথন সরকারে আসি তখনই ‘বিপসট’ প্রতিষ্ঠা করে দেই। পাশাপাশি সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করি এবং আরও অনেক মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করে দেই।
তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতিÑ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এর আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের এই নীতিমালার কারণে সমগ্র বিশে^ আজ একটা সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছি। বাংলাদেশ সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ^াস করে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে আমাদের দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সবসময়ই বিপন্ন মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছে।
সরকারপ্রধান এ প্রসঙ্গে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান এবং তাদের মিয়ানমারের নিজ ভূমিতে ফিরে যাবার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করব না কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ করে থাকব না। সেটা নিশ্চয়ই আমরা প্রতিরোধ করব বা প্রতিবাদ করবÑ সেভাবেই আমরা আমাদের সশস্ত্রবাহিনীকে গড়ে তুলেছি।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোন জাতীয় প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকেন এবং সহযোগিতা করে থাকেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে তাঁদের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। আমরা আবারও সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে গৌরবের স্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত করে যান এবং সেখান থেকে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। এই সময়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদন্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করে যাচ্ছি, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের আলোকে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেয়ার ঘটনাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। আন্তঃবাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিএসসিএসসির উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা-প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উচ্চমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা কোর্স সম্পন্নকারীদের উদ্দেশ বলেন, আজ আপনাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন। এ দিনটির জন্য দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় সাধন করতে হয়েছে। আপনারা সমর বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ওপর উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। আমার বিশ্বাস, এসব প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন এবং যে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে। কেননা আমি সকলের পদবি পরিবর্তন থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমানতালে আমাদের প্রতিটি সদস্য চলতে পারে সে ব্যবস্থাটাই করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি বিশ^াস করি সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন আজকে পূরণ হয়েছে। তিনি বলেছিলেন-একদিন বিদেশী বন্ধুরা আমাদের একোডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ আজ জাতীয় সীমারেখা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লেও এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই কোর্সে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সামরিক সদস্যগণ বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য, নয়নাভিরাম প্রকৃতি এবং মানুষের অতিথি পরায়ণতায় কিছুটা হলেও আবিষ্ট হয়েছেন। স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমরা সার্থক। কারণ আপনারাই আমাদের শুভেচ্ছা দূত।
নানা প্রতিকূূলতার মধ্যেও অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে ‘সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ কোর্স ২০২১-২০২২’ সফলভাবে পরিচালনা ও স¤পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী ডিএসসিএসসি কমান্ড্যান্ট এবং সকল অনুষদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে আরও বলেন, সবসময় বিশে^ মাথা উঁচু করে সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে চলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমাদের যা সম্পদ আছে তাই দিয়ে আমরা নিজেদের বিশে^ মর্যাদাশীল করে গড়ে তুলেছি এবং আমরা আরও গড়ে তুলব, সামনে এগিয়ে যাব।