দিরাই হাওর রক্ষা বাঁধ একমাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরুই হয়নি

49

দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সময় পেরিয়ে ৩৪ দিন অতিবাহিত হলেও দিরাইয়ের হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শুরুই হয়নি । এতে হাওরপাড়ের কৃষকরা খুবই শঙ্কিত। মঙ্গলবার সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই (পিএফজি) এর নেতৃবৃন্দ দিনভর উপজেলার চাপতি ও বরাম হাওরের বৈশাখি, কেজাউরা,তুফানখালীসহ বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন শেষে তাড়ল ইউনিয়নের ধল বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠে বিকেলে কৃষক সমাবেশে মিলিত হলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের হতাশা ও শঙ্কার কথা জানান ।
সকাল নোয়াখাল বাঁধে গিয়ে দেখা যায় গত বছরের বাঁধ অক্ষত রয়েছে, দু দিকে ৫০ ফুট করে নৌকা চলাচলের জন্য যে রাস্তা করা হয়েছিল তা খোলা আছে। অভিযোগ রয়েছে এ বাঁধেও অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তাড়ল ইউনিয়ন অংশে বৈশাখী বাঁধের কোন পিআইসিই কাজ শুরু করেনি। কাদিরপুরের ও একই অবস্থা অক্ষতবাঁধ থাকায় কাজ শুরু করেনি পিআইসি। তবে কৃষকরা দাবি করেছেন বাঁধ যেহেতু অক্ষত আছে তাই বাঁধের সামনের পিছনের গর্তগুলো বরাট করা জরুরী।
ইউপি সদস্য কৃষক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতা শিক্ষক দিনইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অতিথির বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই’র পিসঅ্যাম্বাসেডর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজ দৌলা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিস অ্যাম্বাসেডর এডভোকেট রিপা সিনহা, উপজেলা হাওরবাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট তোরণ মিয়া, সহ সভাপতি নুরুল হক, পিএফজির সমন্বয়কারী সামছুল ইসলাম সরদার, পিএফজির সদস্য উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, সুলতানা রাজিয়া, পারভিন বেগম, মুহসিনা খাতুন, মাজেদা বেগম, পৌরযুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া , ইকবাল সরদার, সেলিম মিয়া, কৃষক কবির মিয়া,আমিনুল ইসলাম, ইজদানি আজাদ, আব্দুস ছামাদ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, ৩৪ দিন পেরিয়ে গেলেও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় আমরা হতাশা ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি। প্রতিবছরই সরকার হাওররক্ষা বাঁধের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় কৃষকের সমন্বয়ে পিআইসি গঠনের সরকারি বিধি থাকলেও অধিকাংশ পিআইসি গঠন রাজনৈতিক বিবেচনায়। আমরা চাই প্রকৃত কৃষকদের দিয়ে পিআইসি গঠন করা হউক। অবিলম্বে বাঁধের কাজ শুরু না হলে আন্দোলনের হুমকি দেন কৃষকরা।