কানাইঘাটের ৯ ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কে কত ভোট পেলেন

4

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই ভোটারদের স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভরা ডুবি হয়েছে। মাত্র ২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ২টিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ২ জন করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক রয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারি ভাবে ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তমিজ উদ্দিন (নৌকা প্রতীক) ৮২৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা ডাঃ ফয়াজ উদ্দিন (ঘোড়া প্রতীক) নিয়ে ৪৬৭৬ ভোট পেয়েছেন। ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী মাওলানা জামাল উদ্দিন (খেজুর গাছ) ৫৭০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রহিম (লাঙ্গল প্রতীক) ৫৪৮২ ভোট পেয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জেমসলিও ফারগুশন নানকা ১৭১৮ ভোট পেয়েছেন। ৩নং দিঘীরপার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মোমিন চৌধুরী (মোটর সাইকেল প্রতিক) ৪০৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বাসিত (আনারস প্রতীক) ৩২৮০ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল (নৌকা প্রতীক) ৩০৯৫ ভোট পেয়েছেন। ৪নং সাতবাঁক ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত সমর্থিত আবু তায়্যিব শামীম (চশমা প্রতীক) ৩২১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান (নৌকা প্রতীক) ২৪৮৬ ভোট পেয়েছেন। ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা আব্দুল মালিক চৌধুরী (আনারস প্রতীক) ৫৮৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন (চশমা প্রতীক) ৩৪২৬ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মুবশি^র আলী (নৌকা প্রতীক) ২৫৭২ ভোট পেয়েছেন। ৬নং সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক আফসর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ৪০৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুদ্দিন বাবুল মোহরী (দুটি পাতা প্রতীক) ২৯৫৯ ভোট পেয়েছেন। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন রশিদ (অটোরিক্সা প্রতীক) ২১৯৪ ভোট পেয়েছেন। ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা মাষ্টার লোকমান আহমদ (মোটর সাইকেল প্রতীক) ৩৯৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন (রজনীগন্ধা প্রতীক) ২৮৬০ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ (নৌকা প্রতীক) ২১৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মাষ্টার আবু বক্কর (আনারস প্রতীক) ৩৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা আব্দুর রহমান (চশমা প্রতীক) ৩৫৫০ ভোট পেয়েছেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সায়েম আহমদ (নৌকা প্রতীক) ১৬০০ ভোট পেয়ে ৫ম স্থানে ছিলেন। ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী মাওলানা শামছুল ইসলাম (খেজুর গাছ প্রতীক) নিয়ে ৩৫৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খেলাফত মজলিছ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম (দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক) ৩১০৩ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিলাল আহমদ (নৌকা প্রতীক) ১৪৭৭ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠতম স্থানে ছিলেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৫৫৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।