কুশিয়ারা নদী ভাঙন পরিদর্শনে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ॥ কুশিয়ারা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে

13
ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে ফেঞ্চুগঞ্জে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি।

ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা নৌকাযোগে পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি’র কুশিয়ারা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন উপলক্ষে ফেঞ্চুগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে ৬ জানুয়ারি সকালে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাসিত টুটুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাকুর রহমান মফুর, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান আনহার মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, কুশিয়ারা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একনেক সভায় অনুমোদন হলে এ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া কুরু হবে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে কুশিয়ারা নদীর উভয় পারের মানুষ সুফল ভোগ করবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যেহেতু স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে পানিবন্দিত্বের হাত থেকে, নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের রোলমডেল বিদেশী সাহায্য ছাড়া দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবেন। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।
এসময় পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, ফেঞ্চুগঞ্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী আহমেদ, বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ সহ জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি