চতুর্থ ধাপে সিলেটের ২০টি ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন ॥ আ’লীগ ৭, বিদ্রোহী ৫, জামায়াত ৪, বিএনপি ৩, জাপার ১ জন বিজয়ী

29
গোলাপগঞ্জের ভাদেশ^র ইউনিয়নে মহিলা ভোটাদের দীর্ঘ লাইন। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
চতুর্থ ধাপে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭ জন, বিদ্রোহী ৫ জন প্রার্থী ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১ জন বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুস সামাদ (নৌকা), গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তমজ্জুল আলী তোতা মিয়া (নৌকা), ফুলবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুল হানিফ খান (নৌকা), পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু (নৌকা),শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এম কবির উদ্দিন (ঘোড়া) ও লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাহতাব উদ্দিন জেবুল (আনারস), উত্তর বাদেপাশা স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) প্রভাষক মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন (আনারস), ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আব্দুর রহীম (ঘোড়া), লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত খলকুর রহমান (লাঙ্গল) বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু (নৌকা), মাথিউরা ইউনিয়নে মোহাম্মদ আমান উদ্দিন (নৌকা), শেওলা ইউনিয়নে জহুর উদ্দিন (নৌকা), কুড়ারবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তোতা, দুবাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. জালাল আহমদ, চারখাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, তিলপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মাহবুব (চশমা), মুল্লাপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা এম এম মান্নান (ঘোড়া), মুড়িয়া ইউনিয়নে জামায়াত নেতা ফরিদ আল মামুন (চশমা), লাউতা ইউনিয়নে জামায়াত নেতা মো. দেলওয়ার হোসেন (ঘোড়া) বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
জানা গেছে, এই ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে রবিবার ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হন। প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সর্তকবস্থায় ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো উৎসবের আমেজ। শতোর্ধ্ব বয়েসি মানুষকেও স্বত:স্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বিয়ানীবাজারে শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।