জিন্দাবাজারে কলেজ ছাত্র মিসবাহ হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, অপর ২ যুবক খালাস

5

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া কলেজ ছাত্র মিসবাহ উদ্দিন তাহা (২১) হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরোও ২ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। ৫ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী কবির আহমদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রুমেল ও রানা নামের আরও ২ আসামীকে ২বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা ৩ জনই দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা। তবে আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নন তাহার পরিবার।
এদিকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন এমনটি জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, মিসবাহ হত্যা মামলার রায়ে আমরা যথাযথ বিচার পাইনি। এজন্য আমরা পরবর্তি আইনী লড়াই চালিয়ে যাবো।
গতকাল শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট সারোয়ার হোসেন আবদালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কলেজ ছাত্র মিসবাহ হত্যা মামলায় আদালত কবীর আহমদ নামের এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আরও ২ আসামীকে খালাস দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা জার্মানী প্রবাসী রহমত উল্লাহর একমাত্র পুত্র মিসবাহ উদ্দিন মিসবাহ তার মা ও ২ বোনের সঙ্গে নগরীর মজুমদারী কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় বসবাস করতেন। তিনি সিলেট কমার্স কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করে সে বছর পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিসবাহ। ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতার জের ধরে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় খুন হন কলেজ ছাত্র মিসবাহ উদ্দিন তাহা। এ ঘটনায় নিহতের মা নাজমা বেগম কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ হত্যা মামলায় সেই বছরের ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থেকে মূল আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ৯ ডিসেম্বর বন্দরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আরও ২ যুবক রুমেল ও রানাকে। ৩ জনই দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা। ২০১৭ সালর ২০ এপ্রিল ঘাতক কবির, রুমেল ও রানার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই মো. ফয়েজ উদ্দিন ফায়াজ। ঘটনায় জড়িত রাব্বির নাম ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।