ওমিক্রন সতর্কতায় উৎসব না হলেও বই পাবে শিক্ষার্থীরা – শিক্ষামন্ত্রী

16

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে। বাকিগুলো যাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। তাই কোন শিক্ষার্থী সময় মতো বই পাবে না তা ঠিক নয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতুয়াইল প্রেস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন সতর্কতায় গতবছরের মতো এ বছরও বই উৎসব হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে। শ্রেণী অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হবে। তিনি বলেন, ওমিক্রন নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে, ইউরোপেও ছড়াচ্ছে। এজন্য আমাদের আরেকটু বোধ হয় দেখা দরকার। আমরা এখনও সবদিক দিয়ে ভালো অবস্থায় আছি, কিন্তু একইসঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের এখানে মার্চে বাড়ে (করোনার সংক্রমণ)। কাজেই মার্চ মাস পার না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না, খুব নিরাপদ অবস্থায় আছি। কাজেই সতর্কতা ষোলো আনা রাখতে হবে।
এ সময় বই ছাপার মান সম্পর্কে বলেন, প্রেস ঘুরে দেখলাম বইয়ের মান ঠিক আছে বলে মনে হলো। এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে প্রতি সপ্তাহেই পরিদর্শন করা হয়। ১৫৮টি প্রেসে মাধ্যমিক ও ৪২টি প্রেসে প্রাথমিকের বই তৈরির কাজ চলছে। আমরা মান ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। কেউ সঠিক মান না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় বইয়ে বিতর্কিত বিষয় ও ভুলভ্রান্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের সমস্যাগুলো সংশোধন করা হয়েছে। তার মানে এই নয় এবার ভুল থাকবে না। আমরা আরও অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছি। তারপরও ভুল পাওয়া গেলে সংশোধন করে নেব।
ডাঃ দীপু মনি এ সময় আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও আগের মতো আংশিকভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানো হবে। যা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মার্চ মাসের পর স্বাভাবিক শ্রেণী পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে। মার্চের আগ পর্যন্ত আমরা বিষয়টি মনিটরিং করব।
দীপু মনি বলেন, আগামীবছর প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু করা হবে। এজন্য সারাদেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিকে ইতোমধ্যে ২১ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। তিন থেকে চারদিনের মধ্যে প্রায় সব বই হয়ে যাবে। তারপরও কিছু বাদ থাকলে সেগুলোও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেয়া যাবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মাতুয়াইলের মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস ও প্রমা প্রেস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।