বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তে টেকনিক্যাল কমিটির সায়

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। এতে স্মার্টকার্ডের চিপের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দু’টি যোগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবারের (২১) বৈঠকে কমিটি সায় দিয়েছে বলে জানা গেছে।
কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার এ বিষয়ে বলেন, আজকে আমাদের সভায় স্মার্টকার্ডে যে চিপটি রয়েছে, তার নিচে বীর মুক্তিযোদ্ধা কথাটি লেখার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন দেখা হবে স্মার্টকার্ডে সিকিউরিটি ফিচারে এজন্য কোনো ক্ষতি হবে কিনা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ)- এর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে হাতে নেওয়া হবে পরবর্তী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একটু সম্মানিত করার চেষ্টা আমাদের। তাদের এতো অবদান, এটুকু আমরা করতেই পারি। যেহেতু এনআইডি কেন্দ্রিক বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা যাতে স্মার্টকার্ড দেখিয়েই নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন, এটাই উদ্দেশ্য।
এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। সেই তালিকার ভিত্তিতেই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
তবে চূড়ান্ত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে পরবর্তীতে। যেহেতু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বিরাট। তাই গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের সাড়া দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হতে পারে। এরপর তাদের আবেদন যাচাই করা হবে মন্ত্রণালয়ের তালিকা থেকে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা চাচ্ছি তাদের স্মার্টকার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দু’টি যোগ করতে। এক্ষেত্রে নামের আগে বা পরে নয়, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অর্থাৎ স্মার্টকার্ডের চিপের নিচ দিয়ে এই লেখাটা থাকবে। আমাদের সার্ভারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি পৃথক জায়গা থাকবে। সেখানে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য থাকবে। বিষয়টি খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের দিকে যাবো আমরা।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা স্মার্টকার্ডের তথ্য কেবল আমাদের সার্ভারে থাকবে। অন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সেটা দেখতে পারবেন না। সেটা স্মার্টকার্ডের চিপেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এতে কেউ যাচাই করে নিতে চাইলে যাচাই করতে পারবেন।
ইসির এনআইডি সার্ভারে প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এদের প্রায় সবার লেমিনেটিং করা জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। আর স্মার্টকার্ড রয়েছে সাড়ে ছয় কোটি মানুষের।
২০০৭ সালে দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ হাতে নেয় ইসি। পরবর্তীতে তার ভিত্তিতেই দেওয়া হয় এনআইডি। এরপর ২০১১ সালে এসে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড প্রকল্প হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য এর আগে আলাদা কোনো স্মার্টকার্ড ডিজাইন করা হয়নি।