খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের দুই জন আইনজীবী পৃথক পৃথকভাবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ দুটি রিট দায়ের করেছেন।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এই রিটটি দায়ের করেছেন। তিনি বলেছেন আমি নিজ উদ্যোগে রিট করেছি। বিএনপির কোন নেতার পরামর্শে এ রিট দায়ের করিনি। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে তা উপস্থাপন করা হবে।
রিট আবেদনে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ ও জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণার ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২) অনুচ্ছেদের অধীনে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে বিবাদীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্তর্র্বতী আদেশে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে অনুমতি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, মানবিক ও মৌলিক অধিকার প্রশ্নে ‘ডকট্রিন অব নেসিসিটি’ ও জাতিসংঘের ‘হিউম্যান চার্টার্ড’ এর অধীনে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করতে পারে। একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকার শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।
ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে রিট : বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অপব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী তাপস কান্তি বল এই রিটটি করেন। আইনজীবী তাপস কান্তি বল রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিটে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।