একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি জানুয়ারিতে শুরু

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি জানুয়ারিতে শুরু হবে। কলেজ এবং মাদ্রাসায় এবারও অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন ও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরের শেষে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ফল প্রকাশের পরই একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে একাদশে ভর্তির খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে বলে নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে একাদশ শ্রেণীর প্রথম ধাপের ভর্তি আবেদন আগামী ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শুরুর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পর পর তিনটি ধাপে শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন নেয়া হবে। অনলাইন আবেদন শেষে ফল প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তার সঙ্গে নির্বাচিত আবেদনকারীর দেয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠানো হবে। অনলাইনে বা সরাসরি কলেজে গিয়ে ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করার সুযোগ দেয়া হবে।
নীতিমালায় দেখা গেছে, এ বছর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল রেখে অন্য কোটা বাতিল করা হয়েছে। আগের বারের মতো এবারও ভর্তিতে শুধু অনলাইনে আবেদন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভর্তি নিশ্চয়ন ফি গত বছরের মতো ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করতে প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ চূড়ান্ত তালিকায় নাম এলে একজন শিক্ষার্থীকে এ পরিমাণ টাকা দিতে হবে। চলতি সপ্তাহে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকদের এক সভায় খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
নীতিমালায় দেখা গেছে, এবারও অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে বা মাদ্রাসায় আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে না।
শতভাগ মেধা কোটা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ কোটা হিসেবে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, বিকেএসপি ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। এবার একাদশে ভর্তিতে বিভাগীয় ও জেলা সদর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরসমূহের কোটা বাতিল করা হয়েছে।
এ বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যমে ভর্তির জন্য ৯ হাজার ও ইংরেজী মাধ্যমের ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি করা যাবে না, এটা সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রসিদ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার এবং পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকা ব্যতীত অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।