স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

3

মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশে নানা অনুষ্ঠান চলছে বছরজুড়ে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতিসংঘ মহাসচিব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, চীনসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি বছরজুড়ে ৫০টি জাতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করেছিল। বছরের বিভিন্ন সময় এসব কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শেষের দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজন করে দেশের ২১টি স্থানে মহাসমাবেশ এবং পথে পথে বিজয় উদযাপন কর্মসূচী। ২৬ নবেম্বর দিনাজপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই কর্মসূচী।
এবারের বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এবারের আকর্ষণ ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন তিনি। প্রতিবছর বিজয় দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচী থাকলেও এবার মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ছিল বিশেষ আয়োজন। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ পাঠে অংশগ্রহণ করেন দেশের সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষ। ভারতের রাষ্ট্রপতি ছাড়াও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী সভার সদস্য, জাতীয় সংসদের সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য ছাড়াও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করেন। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারত শুধু সামরিক সহযোগিতাই নয়, মানবিক সাহায্য নিয়ে নিঃশর্তভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে এক কোটি শরণার্থীকে তারা আশ্রয় দিয়েছে এবং বিশ্ব জনমত গড়তে নানা কর্মকান্ড চালিয়েছে বিশ্বে। ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের বিজয় এত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছিল না। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উৎসবরত বাঙালির সঙ্গে তিন দিন কাটিয়ে গেলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাকে পেয়ে বাঙালির বিজয়ের আনন্দ বেড়েছে কয়েকগুণ।