দোয়ারাবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ১৮ শ্রমিকের কারাদন্ড

1

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৮ শ্রমিককে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ শ্রমিককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তাদের কাছ থেকে ড্রেজার মেশিনসহ ৪টি ষ্টীলবডি নৌকা জব্ধ করা হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ফয়সাল আহমেদ এ আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের তথ্যমতে, উপজেলার সুরমা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল একটি মহল। এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজারের ১৮ শ্রমিককে আটক করা হয়। ড্রেজার মেশিনসহ ৪ টি ষ্টীলবডি নৌকা জব্দ করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মুসলিম পুর গ্রামের নবী হোসেনের পুত্র মো. কাউসার মিয়া (২১), আলীপুর গ্রামের বাছির মিয়ার পুত্র শাহীন আলম (২৫), বেতাল আলীপুর গ্রামের আলী নেওয়াজের পুত্র মো. সুলতান মিয়া (২২), ইনসানপুর গ্রামের ইনফর আলীর পুত্র আছাদুল ইসলাম(২০), চানপুর গজারিয়া হাটির জামিল আলীর পুত্র জাহিদুল ইসলামের(১৮), বেতার আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউল হক(১৯), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সদরঘর গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র মো. বাবুল মিয়া(২৫),অচিন্তপুর গ্রামের মৃত. নাছির উদ্দীনের পুত্র মিজানুর রহমান (৩০), ধর্মপাশা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার পুত্র নাজিম উদ্দীন (২৫), শান্তিপুর গ্রামের জমু মিয়ার পুত্র শাহ আলম(বাকপ্রতিবন্ধী) (২০), কাজির গাঁও গ্রামের মৃত.আবুল হোসেনের পুত্র জমির হোসেন (৩২), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের মরম আলীর পুত্র মো. নাজমুল (২২), ধর্মপাশা উপজেলার বিনদপুর গ্রামের ফসর আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম(২২), বিশম্ভপুর উপজেলার বাদেরটেক মনিপুর হাটি গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র মো. আতিকুর রহমান (২১), আলমাডহর গ্রামের রেজাউল মিয়ার পুত্র মো.শাহিন আলম(২৬) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার জুগীরগাঁও গ্রামের দিলু মিয়ার পুত্র মো.দুলাল মিয়া (২১) কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বিশম্ভপুর উপজেলার বাদেরটেক মনিপুর হাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ এর পুত্র মো. আব্দুর রহমান (২০) ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ বলেন, সুরমা নদীর আমবাড়ী অংশে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতির শঙ্কা ছিল। তাই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এ কাজে জড়িত ১৮ জনকে আটক করা হয়। ড্রেজার মেশিনসহ ৪ টি ষ্টীলবডি নৌকা জব্ধ করা হয়েছে। আটক প্রত্যেককে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মোতাবেক কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।