কানাইঘাটে কমিউনিটি সেন্টার থেকে মহিলা সহ ২ বার্বুচির লাশ উদ্ধার

7

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে এক মহিলা বাবুর্চি সহ দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে গুরুতর অবস্থায় উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের নাজিম উদ্দিন নামে আরো এক বার্বুচিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বানীগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ী বাজার আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত ২ জনের লাশ কানাইঘাট থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। রহস্যজনক ভাবে নিহতরা হলো উপজেলার নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে বার্বুচি সুহেল আহমদ (২৮) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাহিরপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে বার্বুচি সালমা বেগম (৪০)। রহস্যজনক ভাবে দুই বার্বুচির মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক। নিহত সুহেল আহমদ আত্মীয়-স্বজন সহ স্থানীয়রা জানান গত মঙ্গলবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করার জন্য আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন। রাতে তারা কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলার একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন। পরদিন বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে এ ৩জন না উঠলে বিয়ের আয়োজনকারী জসিম উদ্দিন তাদের ডাকতে রুমে যান। ডাকাডাকির পরও তারা ঘুম থেকে না উঠলে একপর্যায়ে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে জসিম উদ্দিন সহ কয়েকজন দেখতে পান বার্বুচি সুহেল আহমদ ও নাজমা বেগম, নাজিম এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট কক্ষের ভিতরে মশার কয়েল ও রান্না কয়েল ধুয়ায় আচন্ন রয়েছে। একপর্যায়ে এ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন সুহেল ও সালমা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন এবং আশংকাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নিহত দু’জনের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধুয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন তাদেরকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হতে পারে। অপর দিকে থানা পুলিশ সহ অনেকের ধারনা ছোট একটি রুমে তিন জন লাকড়ী ও মশার কয়েল জ¦ালিয়ে শুয়ে থাকার কারনে ধুয়ায় আচন্ন হয়ে অক্সিজেনের কারনে শ^াস প্রশাস জনিত কারনে ঘুমের মধ্যে মারা যেতে পারেন। থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে বিয়ের সেন্টারে রান্না করার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর তাদের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসা হয়। কি কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। তবে তিনি ধারনা করছেন যে রুমে তারা শুয়েছিলেন রুমটি ছোট ছিল যার কারনে ধুয়ায় আচন্ন থাকায় বার্বুচি সুহেল আহমদ, সালমা বেগমের মৃত্যু হতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিহত দু’জনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মগে প্রেরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।