করোনার নতুন ধরনের থাবা: নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব বাতিল

2

স্পোর্টস ডেস্ক :
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে জিম্বাবুয়েতে চলমান নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের। যে কারণে প্রথমে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আইসিসি হারারেতে চলমান পুরো বাছাই পর্বটাই বাতিল ঘোষণা করেছে।
আইসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়ানো করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রণের কারণে আফ্রিদির বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের আয়োজক দেশ জিম্বাবুয়েও।
মূলতঃ এ কারণেই আইসিসি দ্রুত টুর্নামেন্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হলো। আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব। এ কারণে বাছাই পর্ব আর আয়োজন করাও সম্ভব নয়। সুতরাং, বাতিল ঘোষণা না করে উপায়ও নেই আইসিসির সামনে।
বাছাই পর্ব বাতিল ঘোষণা করার কারণে আগামী বিশ্বকাপের জন্য তিনটি দল নির্বাচন করা হয়েছে র‌্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকায় প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বাংলাদেশের নারীরা। তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও।
আগামী বছর ৪ মার্চ নিউজিল্যান্ডে শুরু হবে নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেট। শেষ হবে ৩ এপ্রিল। এই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড স্বাগতিক হিসেবে অটোমেটিক খেলবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত খেলবে সরাসরি। বাছাই থেকে উঠেছে তিন দল বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি দুই দল নির্বাচন করা হবে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী রাউন্ড থেকে।
করোনাভাইরাস ওমিক্রনের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল আজকের শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার এক সাপোর্ট স্টাফ করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওই ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। দিনের বাকি দুটি ম্যাচ জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ডের ম্যাচ যথারীতি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাছাই পর্বে এ দুটিই পরিগণিত হচ্ছে সর্বশেষ ম্যাচ হিসেবে।
আইসিসির হেড অব ইভেন্টস ক্রিস টেলি বলেন, ‘চলতি বাছাই পর্বের বাকি অংশ বাতিল করতে হচ্ছে বলে আমরা যারপরনাই হতাশ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকির কারণে স্বল্প সময়ের নোটিশে আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে আমাদেরকেও ইভেন্টটি বাধ্য হয়ে বাতিল ঘোষণা করতে হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সামনে টুর্নামেন্টটি শেষ করার হয়তো আরও কিছু অপশন ছিল; কিন্তু সেটা খুব বেশি নিরাপদ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এ কারণে কঠোর সিদ্ধান্তটি নিতে হলো। বাতিল হওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর খেলোয়াড়দের আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ড টুর্নামেন্টে যোগ দেবে পরবর্তী ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য দিয়ে।’