করোনার দাপটে ইউরোপে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় সোমবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৯১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৩ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৮ জন। এদিকে ইউরোপে ফের করোনার দাপটে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কয়েকটি দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে। যার ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আন্দোলনও তীব্র হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ঢেউয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও)।
আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ইউরোপে ৫ লাখের বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকরা আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে দেশে দেশে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
পশ্চিম ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় সময় সোমবার থেকে নতুনভাবে লকডাউনে যাচ্ছে। ২০ দিন ধরে অস্ট্রিয়াজুড়ে কার্যকর থাকবে লকডাউন। কয়েকদিন আগে দেশটিতে যারা টিকা নেয়নি তাদের ওপর লকডাউন আরোপ করা হয়। নিয়মানুযায়ী, সবাইকে বাড়িতে থেকে কাজ করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ রাখতে হবে। তবে শিশুদের স্কুল খোলা থাকবে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ম চলবে বলে জানা গেছে।
নেদারল্যান্ডসে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় সম্প্রতি তিন সপ্তাহের লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করে ডাচ সরকার। একই সঙ্গে জরুরী প্রয়োজনে ভ্যাকসিন পাস নিয়ে চলাফেরা বাধ্যতামূলক ও নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে দেশটিতে।
বেলজিয়ামেও করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আগে থেকেই রেস্তরাঁর মতো জায়গায় গেলে করোনা পাস লাগত। এ ছাড়া ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অধিকাংশ বেলজিয়ানিদের সপ্তাহে চার দিন বাসায় থেকে অফিসের কাজ করতে বলা হয়েছে।
ফ্রান্সের ক্যারিবিয়ান দ্বীপ গুয়াদেলুপে স্থানীয় সময় রবিবারও করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ পাঠায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
বিদেশীদের জন্য সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া : করোনা মহামারী মোকাবলার কারণে সীমান্তে বিদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা এখন শিথিল করা হচ্ছে। নতুন নিয়মে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে টিকার ডোজ সম্পন্ন করা এবং ভিসাধারী বিদেশীরা অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবেন।