মুনাফালোভী রোধ করুন

11

দেশে নিত্যপণ্যের দাম বছরের কোন সময়ে বাড়বে তার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার বিরাট একটা লাফ দেয়া অবধারিত। অবশ্য মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রোজার সময়ে পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা হলে চালাকি করে রোজার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করে। ফলে রোজার সময়ে আর তাদের দাম বাড়ানোর দরকার পড়ে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই অপকৌশলটিও ধরে ফেলেছে। মুনাফাখোরেরা বছরের বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এ জন্য তাদের অজুহাতেরও শেষ নেই। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য অনৈতিক এবং অযৌক্তিকভাবে তারা দাম বাড়াতে একটুকুও দ্বিধা করে না। পণ্য মজুদকারী এই চতুর ব্যবসায়ীদের গুদামে যে একেবারেই অভিযান হয় না, তা নয়। হয় মাঝেমধ্যে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মজুদদারদের সন্ধানে নেমে পড়ে। কখনও কখনও হাতেনাতে তাদের ধরেও ফেলে। তবে সমাজে জরিমানা ছাড়া শাস্তিও হয় খুব কম।
গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বেসরকারী বা ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি ও বিপণনে যুক্ত থাকে। সরকারের একার পক্ষে সার্বিক বাজার সামাল দেয়া সম্ভব হয় না। সরকারকে নির্ভর করতে হয় বেসরকারী সংস্থার ওপর। এই সুযোগটই বেসরকারী খাত গ্রহণ করে এবং অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকারী সংস্থা টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরশন অব বাংলাদেশ)-এর নিজস্ব মজুদ সক্ষমতা যদি শক্তিশালী হয় এবং তারা যদি দেশব্যাপী নিত্যপণ্যের সরবরাহে গতি আনতে পারে, তাহলে মুনাফালোভীরা সুবিধা করতে পারে না। তাই পর্যবেক্ষক মহল বারবারই টিসিবিকে শক্তিশালী করার কথা বলে আসছে। বিশেষ করে করোনাকালে গরিব, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে টিসিবির পণ্য সরবরাহ বাড়ানো চাই। কেননা, টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হয়। যখন তেল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়, তখন সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হয়ে ওঠে টিসিবিরি ট্রাক। পক্ষান্তরে অতিচাহিদাসম্পন্ন নিত্যপণ্য সুলভে পাওয়া গেলে মুনাফালোভীরা সংযত হয়।
দেশবাসীর জন্য সুসংবাদ এবং কতিপয় মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের জন্য দুঃসংবাদ হলো, দেরিতে হলেও টিসিবি নিজস্ব মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে নিজস্ব গুদাম নির্মিত হলে টিসিবি আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে। সারাবছর নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জনকল্যাণমূলক সরকারের।
তবে টিসিবির কার্যক্রম জোরালো করতে হলে তালিকাভুক্ত ডিলারদের ওপরও নজর রাখা চাই। প্রায়ই কিছু অসাধু ডিলার পণ্য বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাই টিসিবির পণ্যক্রয়, পণ্য মজুদ ও সরবরাহে গতি আনতে হলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। আমরা আশা করব, আগামী দিনগুলোতে টিসিবি দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে সমর্থ হবে। এর মধ্য দিয়ে মুনাফাখোরদের লাগাম টানাও সম্ভব হবে।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বছরের কোন সময়ে বাড়বে তার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার বিরাট একটা লাফ দেয়া অবধারিত। অবশ্য মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রোজার সময়ে পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা হলে চালাকি করে রোজার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করে। ফলে রোজার সময়ে আর তাদের দাম বাড়ানোর দরকার পড়ে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই অপকৌশলটিও ধরে ফেলেছে। মুনাফাখোরেরা বছরের বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এ জন্য তাদের অজুহাতেরও শেষ নেই। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য অনৈতিক এবং অযৌক্তিকভাবে তারা দাম বাড়াতে একটুকুও দ্বিধা করে না। পণ্য মজুদকারী এই চতুর ব্যবসায়ীদের গুদামে যে একেবারেই অভিযান হয় না, তা নয়। হয় মাঝেমধ্যে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মজুদদারদের সন্ধানে নেমে পড়ে। কখনও কখনও হাতেনাতে তাদের ধরেও ফেলে। তবে সমাজে জরিমানা ছাড়া শাস্তিও হয় খুব কম।
গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বেসরকারী বা ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি ও বিপণনে যুক্ত থাকে। সরকারের একার পক্ষে সার্বিক বাজার সামাল দেয়া সম্ভব হয় না। সরকারকে নির্ভর করতে হয় বেসরকারী সংস্থার ওপর। এই সুযোগটই বেসরকারী খাত গ্রহণ করে এবং অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকারী সংস্থা টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরশন অব বাংলাদেশ)-এর নিজস্ব মজুদ সক্ষমতা যদি শক্তিশালী হয় এবং তারা যদি দেশব্যাপী নিত্যপণ্যের সরবরাহে গতি আনতে পারে, তাহলে মুনাফালোভীরা সুবিধা করতে পারে না। তাই পর্যবেক্ষক মহল বারবারই টিসিবিকে শক্তিশালী করার কথা বলে আসছে। বিশেষ করে করোনাকালে গরিব, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে টিসিবির পণ্য সরবরাহ বাড়ানো চাই। কেননা, টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হয়। যখন তেল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়, তখন সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হয়ে ওঠে টিসিবিরি ট্রাক। পক্ষান্তরে অতিচাহিদাসম্পন্ন নিত্যপণ্য সুলভে পাওয়া গেলে মুনাফালোভীরা সংযত হয়।
দেশবাসীর জন্য সুসংবাদ এবং কতিপয় মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের জন্য দুঃসংবাদ হলো, দেরিতে হলেও টিসিবি নিজস্ব মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে নিজস্ব গুদাম নির্মিত হলে টিসিবি আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে। সারাবছর নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জনকল্যাণমূলক সরকারের।
তবে টিসিবির কার্যক্রম জোরালো করতে হলে তালিকাভুক্ত ডিলারদের ওপরও নজর রাখা চাই। প্রায়ই কিছু অসাধু ডিলার পণ্য বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাই টিসিবির পণ্যক্রয়, পণ্য মজুদ ও সরবরাহে গতি আনতে হলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। আমরা আশা করব, আগামী দিনগুলোতে টিসিবি দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে সমর্থ হবে। এর মধ্য দিয়ে মুনাফাখোরদের লাগাম টানাও সম্ভব হবে।