মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা আজ

3
মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা।
কমলগঞ্জের মণিপুরী অধ্যুষিত গ্রামগুলোর ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ চলছে। পাড়ায় পাড়ায় চলছে রাসনৃত্য ও রাখালনৃত্যের মহড়ার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এ বছর মাধবপুর শিববাজার জোড়ামন্ডপ প্রাঙ্গণে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের উদ্যোগে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা ১৭৯তম ও আদমপুরে মণিপুরী মৈতৈ সম্প্রদায় ৩৬ তম মহারাসমেলা পালন করবে।
মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। এখন পুরো এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এছাড়াও মাধবপুর শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, এ, মান্নান এমপি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
শুক্রবার (১৯নভেম্বর) দুপুর থেকে রাখাল নৃত্য বা গোষ্ঠলীলার মধ্য দিয়ে শুরু হবে রাসউৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গোষ্ঠলীলায় রাখাল সাজে কৃষ্ণের বালক বেলাকে উপস্থাপন করা হবে। গোধূলি পর্যন্ত চলবে রাখালনৃত্য। রাত ১২টা থেকে পরিবেশিত হবে শ্রী শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা। চলবে পরদিন ভোর পর্যন্ত। রাসনৃত্যে গোপিনীদের সাথে কৃষ্ণের মধুরলীলার কথা, গানে ও সুরে ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পীরা।ইতোমধ্যে রাসউৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।