মিথ্যা তথ্যে দিয়ে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন থেকে ঋণ নিলে ৫ বছর জেল

1

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে ঋণ নিলে সাজা বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে।
পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ নামে এটি পাস হয়।
রহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
চলতি বছরের জুনে বিলটি সংসদে তোলা হলে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
বর্তমান আইনে বলা আছে, করপোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনেশুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যেকোনো ধরনের জামানত গ্রহণে প্ররত্ত করেন, তাহলে দুই বছর কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ বিলে সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া লিখিত সম্মতি ছাড়া প্রসপেক্টাসে বা বিজ্ঞাপনে বিএইচবিএফসির নাম ব্যবহারের সাজা হিসেবে আগে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা ছিল। জরিমানা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আইনে এক হাজার কোটি টাকা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন আর ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিধান রাখা হয়েছে।
পাস হওয়া এ বিলে বলা হয়, পরিচালকের মেয়াদ সরকারের সন্তুষ্টিক্রমে দুই মেয়াদের অনূর্ধ্ব তিন বছর সময়ে বহাল থাকবে। করপোরেশন সরকারের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, করপোরেশনের কার্যপরিধি বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ রদ্ধি, পরিচালনা পর্ষদের গঠন সুনির্দিষ্টকরণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ, তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তির্জাতিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনসহ ঋণ গ্রহণ, অপরাধের শাস্তির পরিমাণ রদ্ধি, অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা, পৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ ও অর্ধদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের বিধান সংযোজনসহ অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিদ্যামান আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছে।