২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

2

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এই কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেকাংশেই কোচিং সেন্টারের মালিকরা তা মানেন না। কোচিং সেন্টারগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত। আমাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যেমন কাজ করেন একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, কোচিং সেন্টারগুলোতে তো নানা ধরনের কোচিং হয়। সে বিবেচনায় স্থানীয় পর্যায়ে হয়তো মনে করা হয়, এটা বিদেশি পরীক্ষার কোচিং কিংবা ইউনিভার্সিটি পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে কিংবা বিসিএস পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে বা আইএলটিএস পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে, সে কারণে কিছু ছাড় দেওয়া যায় কি না, অনেক সময় এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা হয়। যেহেতু আমরা দেখেছি যে কখনো কখনো কোচিং সেন্টারকে ভিত্তি করেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করার একটা অপচেষ্টা কিংবা গুজব ছড়ানোর একটা অপচেষ্টা কখনো দেখা দেখা যায়, একটা যোগসূত্র থাকে, সে কারণেই কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।
দীপু মনি বলেন, আজকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের যে সভা হয়েছে, সেখানেও নির্দেশনাটিই দিয়েছি। আশা করবো সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। বিশেষ করে কোচিং সেন্টারগুলোর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা তাদের এ কোচিং বন্ধ রাখবেন।
মন্ত্রী জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। ২ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকলেও বৈশ্বিক অতিমারির কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছর যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আক্রান্তের হার সহনীয় মাত্রায় উন্নীত হওয়ায় পুর্নবিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবছর মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৯০১ জন। রদ্ধির শতকরা হার ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১২০ টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ অংশ নেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।