ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

2

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের আমেরতল গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ব্য ক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর খরমা ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের গুরুতর আহত অবস্থায় ছমরু মিয়া (৩৮), এলকাবুর রহমান (২৮), হানিফ আলী, হায়দর আলী (৩৫) কামাল মিয়া (৩০)সহ অন্যান্যদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৫ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশের এক অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ২য় ধাপে ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন থেকে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও পরাজিত প্রার্থী তারই চাচাতো ভাই এডভোকেট মনির উদ্দিনের পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিজয়ী বিল্লাল আহমদ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই নুরুজ্জামান পাপলুর বিরুদ্ধে পরাজিত চেয়ারম্যান এড. মনিরের পক্ষের সালাহ উদ্দিন ও রাসেল মিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অপত্তিকর মন্তব্য করে। এরই জের ধরে রবিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে থানা পুলিশের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সোমবার সকাল ৯টায় দু’পক্ষই দেশীয়-অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ব্যাক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত ৭জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবব পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রথমে ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও পরে ১৫ রাউন্ড রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র এবং উভয় পক্ষের ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।