লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার, ভাড়া বাড়লো ৩৫.২৯ শতাংশ

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাসের পরে বাড়ল লঞ্চভাড়াও। লঞ্চের ভাড়া ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলমান লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে সরকারের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে ভাড়া বাড়ানো ও ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৩০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের উর্ধে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা আলোচনার পর মালিকরা ৩৫.২৯ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মেনে নেন। বৈঠকে সরকারের পক্ষে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, লঞ্চ মালিকদের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদসহ অন্য নেতারা নেতৃত্ব দেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ নবেম্বর মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্র্র্নিধারণ করে সরকার। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ৫ নবেম্বর থেকেই বাস-ট্রাক চালানো বন্ধ করে দেয় মালিকরা। সেই রাত থেকেই লঞ্চ মালিকরাও ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে লঞ্চভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের উর্ধে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানায় মালিকরা।
ভাড়া বৃদ্ধির বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।