নবীগঞ্জে ১৩ ইউনিয়নের মাঝে ১১ ইউনিয়নে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থী

2

নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ। ১৩টি ইউনিয়নের ১১টিতেই বিদ্রোহের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ প্রার্থী। উপজেলায় ১৬ জন আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। সরাসরি বিদ্রোহী হয়ে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বহিষ্কৃত গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল। তার সঙ্গে যুক্ত হন নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু। ১নং বড় ভাকৈড় পশ্চিম এবং ৪নং দীঘলবাঁক ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতরা হাইকমান্ডের প্রতি আস্থাশীল হয়ে বিদ্রোহ থেকে বিরত রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রভাবশালী বর্তমান তিন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। এদিকে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। উপজেলা নির্বাচন কমিশন ও দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৩ জন, ২১টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭৮ জন, ৬৩টি সাধারণ সদস্য পদের জন্য ৪৮৪ জন সহ ৭২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পৃথক ৫ রিটার্নিং অফিসারের নিকট এই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। চেয়ারম্যান পদে ১নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নে ৩ জন, ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নে ৫ জন, ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে ৫ জন, ৪নং দীঘলবাঁক ইউনিয়নে ৭ জন, ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নে ৪ জন, ৬নং কুর্শি ইউনিয়নে ৭ জন, ৭নং করগাঁও ইউনিয়নে ৭ জন, ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৭ জন, ৯নং বাউসা ইউনিয়নে ৩ জন, ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নে ৫ জন, ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে ৫ জন, ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে ৫ জন ও ১৩নং পানিউন্দা ইউনিয়নে ২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দেবশ্রী দাশ পার্লি, উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মাকসুদুল আলম, উপজেলা মৎস্য অফিসার আসাদুল্লাহ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজুল ইসলাম ও উপজেলা সমবায় অফিসার। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের দলীয় নেতারা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। নির্বাচনে জাপা ৫ ও ১টি ইউপিতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী রয়েছেন। ১টি ইউপিতে জাপা’র বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা নির্ঘুম জনসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ প্রচারণায় মুখরিত করে তোলেছেন উপজেলার সর্বত্র।