ছাতকে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করলেন প্রার্থীরা

63
ছাতক উপজেলার আসন্ন ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার একাংশ।

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে ১১ নভেম্বর ২য় ধাপের অনুষ্ঠিত ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন।
রবিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা আইন-শৃংখলা সমন্বয় সেল। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান। নির্বাচনী দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার, জেলা (এনএসআই) এর যুগ্ম-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, থানার (ভারপ্রাপ্ত) ওসি মো. মিজানুর রহমান।
উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের ব্যাপারে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সামছুল ইসলাম খাঁন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক সাহেবেরে বাড়ীতে গরু জবাই করে ভুরিভোজ চলছে। কালারুকা ইউপির প্রার্থী অদুদ আলম বলেন, আচরণ বিধি লংঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ম বহির্ভত ভাবে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করেছেন। ছৈলা আফজালাবাদ ইউপির প্রার্থী শফিকুল হক বলেন, এমপি মানিক সাহেব আমার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন। ঠিক একই ভাবে আরও একাধিক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মতবিনিময় সভায় নানা অভিযোগ তুলে ধরেন দোলারবাজার ইউপির প্রার্থী মো.হাসমত আলী, জাউয়াবাজার ইউপির প্রার্থী রেজা মিয়া তালুকদার, মো.আল আমিন. ছৈলা আফজালাবাদ ইউপির মিজানুর রহমান মানিক, দোলারবাজার ইউপির প্রার্থী মো.আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ খুরমা ইউপির প্রার্থী মো.আব্দুল খালিক, ছাতক সদর ইউপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপির প্রার্থী সুন্দর আলী প্রমুখ।
সভায় উপজেলা আইন-শৃংখলা সমন্বয় সেলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলতে সকল চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারগন তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রদানের আশ্বাসের পাশাপাশি আচরণবিধি লংঘন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়।