সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ চৌকিদেখীতে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাসা দখল ও হয়রানির অভিযোগ

15

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হয়রানি ও সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে জামিল আহমদ নামের এক যুবক। হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন ওই প্রবাসী। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নগরের চৌকিদেখী রংধনু এলাকার বাসিন্দা কয়েছ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে কয়েছ আহমদ বলেন, ‘২০০৭ সালে জামিল ও তার মায়ের অসহায়ত্বের বিষয়টি জানার পর চৌকিদেখির বাসায় থাকা ও দেখভালের সুযোগ দিয়েছিলাম। এখানে থেকে সে লেখাপড়া করেছে। তার যাবতীয় ব্যয়ভার আমি নিজে গ্রহণ করেছি। কিন্তু চলতি বছরের ১০ জুন দেশে ফিরে জামিল আহমদের নতুন রূপ দেখতে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরের দামি দামি সমুদয় ফার্নিচারসহ ইলেকট্রিক্যাল পণ্য দেখতে না পেয়ে জামিল আহমদকে জিজ্ঞেস করি। সে আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো আমাকেই হুমকি প্রদান করতে থাকে এবং এ বিষয়ে কথা বললে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়।’
জামিলের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন কয়েছ আহমদ। তবে, এর আগেই যুক্তরাজ্য থাকাবস্থায় তাকে আসামি করে ২০২০ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলী আদালতে-এ মামলা দায়ের করে জামিল। যাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করছেন প্রবাসী কয়েছ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনে এ মামলার অভিযোগ অসত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার স্মারক নং পিবিআই/সিলেট জেলা/১১৪৮, তারিখ-১৬ জুন ২০২০। প্রতিবেদনে জামিল আহমদ নারাজি প্রদান করায় সিআইডি, সিলেট জোনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ১২১১/২ (১) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। সেখানেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।’
জামিল চৌকিদেখীর বাসা ছাড়াও দক্ষিণ সুরমার নৈখাইস্থ গ্রামের বাড়ির দখলের চেষ্টাও করছে বলে দাবি করেন তিনি। এরই কৌশল হিসেবে নৈখাইস্থ বাসার কেয়ারটেকারের মাধ্যমে সেখানে একটি কক্ষ এবং পরে আরও দুটি কক্ষ ভাড়া নেয় জামিল।
কয়েছ আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর কেয়ারটেকারের মাধ্যমে জামিলকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ প্রদান করি। পরে, জামিল সংঘবদ্ধভাবে আমার কেয়ারটেকারের উপর আক্রমণ চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জামিল ও তার মাকে অন্যত্র চলে যেতে অনুরোধ করি। কিন্তু, জামিল দখল ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।’
এ বিষয়ে গত ২০ আগস্ট পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত আবেদন দেন কয়েছ। কিন্তু, জামিল আহমদ বাড়ি না ছেড়ে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সে নিজেকে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতার অনুসারী দাবি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েছ আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রবাসীরা কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছি। অথচ, দেশে আমাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’ এ ব্যাপারে তিনি সিলেট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।