জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার – পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি

8
বিশ^ জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ উপলক্ষে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিলেটে জলবায়ু সুবিচার সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ উপলক্ষে শনিবার বিকালে সিলেটে জলবায়ু সুবিচার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এ সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, জলবায়ু আমাদের মা আমরা সন্তানরা মাকে আদর করতে হবে তাহলে মা তার সন্তানকে স্নেহ করবেন। আমাদের দৈনন্দিন নানা আচার আচরনের মাধ্যমে আমরা মায়ের ক্ষতি করছি জলবায়ু তার সুবিচার চায় এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক কারণ আছে। কিন্তÍু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার। বৈশি^কভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে তার অবদান আমরা অস্বীকার করতে পারিনা।
তিনি বলেন আমাদের আওয়াজকে শক্তিশালী ও সোচ্চার করতে হবে এবং ন্যায় বিচারের চাওয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের হোটেল স্টার প্যাসিফিকে উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার তরুণ জলবায়ু আন্দোলন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কমনওয়েলথ উন্নয়ন অফিস, বাংলাদেশের পরিচালক জুডিথ হার্বার্টসন, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোঃ আকমল শরীফ ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। খাদেমুল রাশেদ ও হুমায়রার সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান। শুরুতে একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু সুবিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণদের অভিপ্রায় তুলে ধরেন ইসলামিক রিলিফের প্রকল্প সমন্বয়কারী মঈন উদ্দিন আহমদ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আনন্দনিকেতন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মুনতাহা রেজা পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছে জানতে চায় এভাবে বৈশি^ক উষ্ণায়ন অব্যাহত থাকলে ৩০ বছর পর সে কি সুনামগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারবে নাকি একটি উঁচুভুমির খুঁজে মাছের মতো সাঁতার কাটতে হবে? উপস্থিত তরুণরা হাওরের জন্য জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, জলবায়ুু পরিবর্তনের ফলে হাওর এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাওরে বছর বছর ফসলহানীর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়িয়ে যেতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করতে না পারলে হাওরের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।’ আরেক প্রশ্নে সাবিহা নামের আরেক ছাত্রী জানায় গত ১৫ বছরে সিলেটে একশত টিলা কাটা হয়েছে। সিলেটে আর কোনো টিলা কাটা হবে না মর্মে অতিথিদের কাছে প্রতিশ্রুতি চায়। বিজ্ঞপ্তি