প্লে-অফে কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

12

স্পোর্টস ডেস্ক :
দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ম্যাচটি। জিতলেই নিশ্চিত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর প্লে-অফের টিকিট। আর পাঞ্জাব কিংস জিতলে বড় লাফ দেবে সেরা চারে থাকার পথে। কিন্তু হয়নি এটি। প্রীতি জিনতার পাঞ্জাবকে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে নাম লিখিয়েছে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরুই।
শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছিলো ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব। ফলে ৬ রানের জয়ে চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিট্যালসের সঙ্গী হয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।
এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে আটটি জিতেছে কোহলির দল। পাঞ্জাব খেলেছেন ১৩ ম্যাচ, জিতেছে পাঁচটি। তারা রয়েছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে। তবে আজকের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় অনেক যদি-কিন্তু ও জটিল সমীকরণের মাঝে পড়ে গেছে পাঞ্জাবের প্লে-অফের টিকিট। কেননা সমান ১০ পয়েন্ট রয়েছে কলকাতা, মুম্বাই ও রাজস্থান্র।
ব্যাঙ্গালুরুর করা ১৬৪ রানের জবাবে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিলো পাঞ্জাব। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১০.৫ ওভারেই আসে ৯১ রান। কিন্তু ১১তম ওভারে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ৩৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হলেই মোড়ক লাগে তাদের ইনিংসে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাঙ্গালুরুকে ম্যাচে ফেরান লেগস্পিনার ইয়ুজভেন্দ্র চাহাল।
তিন নম্বরে নেমে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন নিকোলাস পুরান। আশা জাগিয়েও ১৪ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি এইডেন মারক্রাম। আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল পঞ্চাশ পেরিয়ে আউট হন ৪২ বলে ৫৭ রান করে। মায়াঙ্ক ফেরার সময় ২৮ বলে ৫১ রান প্রয়োজন ছিলো পাঞ্জাবের।
যা করতে পারেননি শাহরুখ খান (১১ বলে ১৬), সরফরাজ খান (১ বলে ০), ময়সেস হেনরিকসরা (৯ বলে ১২)। শেষপর্যন্ত ১৫৮ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। ব্যাঙ্গালুরু পায় ৬ রানের জয়।
বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন চাহাল। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে শাহবাজ আহমেদ ও জর্জ গারটনের ঝুলিতে। কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হার্শাল প্যাটেল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৬৮ রান এনে দেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড্ডিকাল। কিন্তু এতে খরচ হয়ে যায় ৯.৪ ওভার। ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই ২৪ বলে ২৫ রান করা কোহলির উইকেট নেন ময়সেস হেনরিকস।
ঠিক পরের বলেই স্বদেশি হেনরিকসের দ্বিতীয় শিকার পরিণত হন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। ব্যাঙ্গালুরু ইনিংসে হেনরিকসের হামলা চলমান থাকে পরের ওভারেও। হেনরিকসের করা ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাড্ডিকাল। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৪০ রান।
ব্যাঙ্গালুরুর সংগ্রহ তখন ১১.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৩ রান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন ম্যাক্সওয়েল। এ দুজনের জুটিতে আসে মাত্র ৪০ বলে ৭৩ রান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ডি ভিলিয়ার্স খেলেন ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস।
ডি ভিলিয়ার্সের চেয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। দুই চার ও চারটি ছয়ের মারে মাত্র ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিন চার ও চার ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলসহ তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন মোহাম্মদ শামি।
বল হাতে পাঞ্জাবের সেরা পারফরমার হেনরিকস। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় নিয়েছেন টপঅর্ডারের তিন উইকেট। সমান তিন উইকেট গেছে মোহাম্মদ শামির ঝুলিতেও, তবে তিনি খরচ করেছেন ৩৯ রান।