দুর্গোৎসবে নগরীর মার্কেট ও বিপণী বিতানে কেনাকাটার ধুম

7

স্টাফ রিপোর্টার :
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। আসছে ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগরীর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এরই মধ্যে পুজার সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। পূজোর দিন ঘনিয়ে আসায় শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করতে রঙ-তুলির আঁচড়ে শেষ কাজটুকু করছেন তারা। পাশাপাশি পুজো উপলক্ষে কেনাকাটাও সারছেন অনেকে।
এদিকে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। পূজায় নতুন জামা কাপড় কিনতে ফুটপাতসহ সর্বত্রই লেগেছে কেনাকাটার ধুম। নতুন কাপড়ের সাথে সাথে জুতার দোকানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হচ্ছেন দোকানীরা।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের কেনাকাটার সুবিধার জন্য ১ শুক্রবার ও আগামী ৮ অক্টোবর শুক্রবার নগরীর সকল মার্কেট ও দোকান-পাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
এবার সিলেট জেলা ও মহানগরের ৬৭০টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬০৫টি মন্ডপে ও মহানগরীর ৬৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এর মধ্যে মহানগরে সার্বজনীন ৫০টি এবং ১৫টি পারিবারিক মন্ডপ রয়েছে। এসব মন্ডপে পূজা উদযাপনের জন্য এখন চলছে প্রস্তুতি। পূজোর দিন ঘনিয়ে আসায় সবগুলো মন্ডপেই সাজ সাজ রব বিরাজ করছে।
এদিকে দুর্গাপূজাকে ঘিরে চলছে কেনাকাটার ধুম। নগরীর বিপণি বিতান ঘুরে কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কান্তি ঘোষ জানান, গেল বছরের মতো এবারও করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা মেনে পূজো আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমীর মধ্যে দিয়ে শারদ উৎসব শুরু হবে। এখন মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী দুর্গার বর্ণিল সাজ-সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রতিমায় রঙ করা হচ্ছে। পূজোর যাবতীয় উপকরণ, পূজো, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান,চন্ডীপাঠ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি, ভজন কীর্তন, আলোকসজ্জা ও ডেকোরেশনসহ নানান প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। রজত কান্তি আরো বলেন, প্রতিটি পূজামন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, জেনারেটরের ব্যবস্থা ও পরিদর্শন বই রাখার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র এডিসি বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। পূজামন্ডপে নিরাপত্তার দিতে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে।