কানাইঘাটে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

7

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন কর্তৃক অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় নির্যাতিতা নারী রাহিমা বেগম (২০) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড গ্রামের বশির আহমদ এর মেয়ে রাহিমা বেগম এর শরীয়াহ মোতাবেক অনুমান ২ বছর পূর্বে লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুল আজিজের বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর স্বামী আব্দুল আজিজ তার চাচা আবুল কালাম সহ পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় স্ত্রী রাহিমা বেগমকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে কয়েকবার মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দাবী করে। একবার পিত্রালয় থেকে রাহিমা বেগম ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেন। সর্ব শেষ পিত্রালয় থেকে আরো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য নানা ভাবে স্ত্রী রাহিমা বেগমকে নির্যাতন শুরু করে স্বামী আব্দুল আজিজ। যৌতুকের দাবীকৃত টাকা দিতে রাহিমা বেগম অস্বীকৃতি জানালে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল আড়াইটা দিকে স্বামী আব্দুল আজিজ ও তার চাচা আবুল কালাম সহ পরিবারের লোকজন রাহিমাকে মারাত্মক ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে তার ২ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাহিমাকে মারপিট করে বসত ঘরের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখলে সে তার পিত্রালয়ে খবর দিলে পরিবারের লোকজন স্বামীর বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনায় রাহিমা বেগম বাদী হয়ে থানায় স্বামী আব্দুল আজিজ চাচা শ^শুর আবুল কালাম সহ শ^শুর বাড়ীর ৯জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এসআই রামচন্দ দেব অভিযোগের তদন্ত করেন। থানায় ডাকার পরও বিবাদীরা হাজির না হওয়ার কারণে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে রাহিমা বেগম সহ তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।