২-১০ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দিচ্ছে কিউবা

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করেনাভাইরাস রুখতে ২-১০ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ কিউবা। বৃহস্পতিবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এমন টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে দেশটি। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেদের দেশে তৈরি টিকাই শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভেদাদো পলিক্লিনিক ইউনিভার্সিটির পরিচালক অরোলিস ওতানো বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের নূন্যতম ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। শিশুদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিন যদি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত না হতো তাহলে শিশুদের এই টিকা দেয়া হতো না।’
পলিক্লিনিক ২-৫ বছর বয়সী ৩০০ জন শিশুকে টিকা দেয়ার আশা করছে। যাদের বয়স ৫-১০ বছর তাদেরকে স্কুলে টিকা দেয়া হচ্ছে।
একজন শিশুর অভিভাবক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি শুরুতে খুবই সন্দিহান ও চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমি সব বুঝতে পেরেছি। আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা গুরুত্ব আমাদের কাছে সবার আগে। শিশুরা করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ, সারাক্ষণ তারা ঘরের মেঝেতে খেলছে।’
এর আগের সপ্তাহে কিউবার ১১-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। কিউবায় করোনার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। করোনার প্রকোপের কারণে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। ‘সোবারানা’ ছাড়াও ‘আবদালা’ নামের আরেকটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে কিউবা।
কিউবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৬০১ জন।
গত জুনে চীনে ৩-১৭ বছর বয়সীদের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক টিকা দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অনেক দেশ ১২ বা তার বেশি বয়সীদের করোনার টিকা দিচ্ছে।