সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ দিবা রানী ও তার স্বামীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন মাওলানা মতিন

11

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত সাবেক নারী কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলী ও তার স্বামী মনীন্দ্র চন্দ্র দে’র দৌরাত্ম্যে ও হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চাইলেন নগরের যতরপুরের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল মতিন।
মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে যতপুরের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল মতিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাবলী ও তার স্বামী মনিন্দ্র ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার বাসার সামনের সড়কে একটি মন্দির নির্মাণ করছেন। মূলত তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে না পারেন সেই প্রতিবন্ধতা তৈরির নিমিত্তেই সেখানে মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলে মন্দির নির্মাণ কাজ বন্ধের অনুরোধ করলেও তারা মন্দির নির্মাণ থেকে বিরত থাকেনি। ফলে তিনি নিরুপায় হয়ে পুলিশ প্রশাসনে দরখাস্ত নিয়ে গেলে পুলিশ মনিন্দ্র চন্দ্র দে ও দিবা রাণীর নাম শুনেই দরখাস্ত গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়। এর আগে ৫/৬বছর পূর্বে মনীন্দ্র চন্দ্র দে ও তার স্ত্রী দিবা রানী দে বাবলী তাদের গৃহদেবতা নিজেরা ভেঙে তাকে আসামি করে মামলা দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘মনিদ্র চন্দ্র দে ও দিবা রাণী সহ তাদের চক্ররা জাল টাকার ব্যবসা সহ তাদের দখলে থাকা যতরপুরস্থ বাড়ীতে মদ, গাঁজা সেবন, জুয়া খেলার আড্ডা সহ আমাদের এলাকায় দিবা রাণীর ভাই পাপ্পু মন্ডল বিক্রম ও আনো মন্ডলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মহড়া করতঃ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে থাকে। তাদের উপদ্রবের কারণে ধার্মিক মহিলারা ঘর হতে বের হতে পারে না, তারা সবসময়ই আতঙ্কে থাকেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, মনিন্দ্র পেশায় একজন নাপিত ছিল। ২০১৩ সালে তার স্ত্রী সিসিক কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে নাপিতের পেশা ছেড়ে দেয় সে। এরপর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মাদক, জাল টাকার ব্যবসাসহ জালিয়াতির মাধ্যমে জায়গা দখল ইত্যাদিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাবলী ও তার স্বামী মনিন্দ্র চক্র সিলেটের কাস্টঘর ও চালিবন্দর সংলগ্ন মাদানী হাউজিং গ্রাস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। তারা নিজেদের সংখ্যালঘু শব্দের পুঁজি করে এসব অপকর্ম করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের এসব অপকর্মে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি বেআইনী মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করাসহ তাদের অপকর্ম, সন্ত্রাসবাদ, জুলুম নির্যাতন, ভূমি আগ্রাসন রোধ করার নিমিত্তে আইনগত সকল ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীগণ এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।