৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের তর্জনী উঁচু ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে আদালত বলেছেন, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করবে। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি সাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগের আদেশ অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ড. বশির আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই রায় যুগান্তকারী ও মাইলফলক। এর ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেন। তারও আগে ২০১৭ সালের ২০ নবেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।