বন্ধ হলো পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার ২২ হাজার সাইট

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশ থেকে গত এক বছরে ২২ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফি এবং অনলাইন জুয়ার সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এসব সাইট বন্ধ করা হয়েছে জানান তিনি।
সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
শ্যামসুন্দর সিকদার জানায়, দেশে মোবাইলফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। ইতোমধ্যে চালু হয়েছে থ্রিজি ও ফোর-জি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহেরও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে ইতিবাচক সুবিধার পাশাপাশি এর অপব্যবহার বাড়ছে। এসব ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, সামাজিক, রাজনৈতিক, পর্নোগ্রাফি, সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে উসকানিমূলক ও উগ্রবাদী কন্টেন্টসহ বিভিন্ন রকম আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রচার করা হচ্ছে যা প্রতিদিন আশঙ্কজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া শিশু ও কিশারেরা এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার এবং অনলাইনে গেমস খেলার কারণে তাদের পডাশোনায় ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে।
বিটিআরসির বিভিন্ন কার্যকলাপ তুলে ধরে শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ধর্মীয়, পর্নোগ্রাফি এবং রাজনৈতিক উসকানিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, পেজ, চ্যানেল, লিংক, ইমেজ, অডিও, ভিডিও কনটেন্ট অপসারণের জন্য বিটিআরসির কাছে অনুরোধ জানায়। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ডোমেইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবমাননাকর পোস্টে এবং আপত্তিকর কনটেন্ট বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহকে কনটেন্ট রিপোর্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে অনুরোধ জানায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন অনুযায়ী বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে ওই কনটেন্টগুলো অপসারণ/ব্লক/ অ্যাক্যাউন্ট স্থগিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ২২ হাজার পর্নোসাইট ও চার হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব মো. আফজাল হোসেন ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।