সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন শফি আহমদ চৌধুরীর বক্তব্য

6

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী এক বিবৃতিতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৩ দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই আসনের উপ-নির্বাচনে তাঁর সাথে থাকা সকল নেতা এবং কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ১৯৮৬ সালে আমি রিক্সা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৫ দলের প্রার্থী মরহুম পীর হাবিবুর রহমানের সাথে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু তৎকালীন এরশাদ সরকারের নির্দেশে মাত্র কয়েক’শ ভোটে পীর হাবিবকে বিজয়ী দেখানো হয়। এরপর থেকে সংসদ সদস্য না হয়েও ব্যক্তিগতভাবে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বাস্তবায়ন সহ এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা-স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছি।
শফি চৌধুরী বলেন, স্থানীয় জনসাধারণের চাপে এবারে উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পর সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যেখানেই গেছি, সেখানেই হাজার হাজার মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। কিন্তু ভোটের ফলাফলে আমি হতবাঁক। এবারে ইভিএমে ভোট হওয়ায় অনেক কেন্দ্রে আমার ভোটাররা অভিযোগ করেন যে তাঁরা ফিঙ্গার দেওয়ার পর কে বা কারা তাদের ভোট কনফার্ম করে দেয়। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। তিনি বলেন, এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করে উল্টো তাঁরা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। যা বিএনপির রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমি দীর্ঘদিন এই দলের পিছনে অর্থ, শ্রম ও সময় দিয়েছি। যার স্বাক্ষী এই অঞ্চলের মানুষ। শফি চৌধুরী এই উপ-নির্বাচন তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচন উল্লেখ করে বলেন, তিনি আর কখনো নির্বাচনে আসবেন না। তবে এলাকার মানুষের সুখে-দুখে, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে তিনি মানুষের পাশে থাকবেন। বিজ্ঞপ্তি