শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশেই চলে গেলেন পাইলট নওশাদ

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। সোমবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার ভারতের নাগপুরে একটি হাসপাতালে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।
ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে গত ২৭ আগষ্ট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মধ্য আকাশে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয় তার।
পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইটটির (বিজি ০২২) নিয়ন্ত্রণ নেন ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করান। সেখান থেকে খুব দ্রুত ক্যাপ্টেন নওশাদকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে তার চিকিৎসা চলছিল।
বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়, তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রায় তিন দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও ফেরানো যায়নি কৃতী এই পাইলটকে। তিনি পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
আইসিইউতে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গতকাল সকালে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছিলেন, নওশাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে তার দুই বোনও রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারও রয়েছেন।
ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।