ছাতকে ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরসহ সৃষ্ট ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি

5
ছাতকে ইউনিয়ন অফিস কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বৈঠক।

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়াসহ সৃষ্ট ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে। রবিবার (২৯ আগষ্ট) ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সৃষ্ট ঘটনা নিষ্পত্তি হয়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরি বকুল, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আবদুস সহিদ মুহিত, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, এডভোকেট আবুল হাসান, ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, হুসাইন আহমদ লনি মেম্বার ও ছায়াদ আহমদ।
তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৈঠকের সভাপতির মাধ্যমে সৃষ্ট ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত (২৫ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের তকিপুরস্থ বাড়ির সম্মুখে রেলওয়ের একটি পুকুরের নতুন লিজের মালিকানা নিয়ে চেয়ারম্যান আখলাক ও ছায়াদ আহমদ পক্ষদ্বয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওইদিন ছায়াদ পক্ষের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ার অভিযোগ উঠে।
খবর পেয়ে ছাতক সার্কেল এএসপি বিল্লাল হোসেনসহ ছাতক থানার ওসি (তদন্ত)সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ও গোবিন্দনগর গ্রামের ছায়াদ আহমদের পাল্টা পাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে সৃষ্ট ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
অবশেষে গত (২৮ আগষ্ট) বিকেলে ইউনিয়নবাসীর আহবানে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পরবর্তী বৈঠকের দিন-তারিখ নির্ধারণ হয় রবিবার (২৯ আগষ্ট)। বৈঠকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতেই সৃষ্ট ঘটনার নিষ্পত্তি ঘটে।
সৃষ্ট ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ও গোবিন্দনগর গ্রামের ছায়াদ আহমদ।