কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামে গতকাল রবিবার বিকাল ৩টার দিকে স্ত্রীকে উত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী সৈয়দ আহমদ। মাথায় গুরুতর জখমের ফলে আহত সৈয়দ আহমদ কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সিলেট এম.এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আহতের ভাই বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামের মৃত হাজী সিদ্দেক আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে হামলাকারী ৬জন কে আসামী করে কানাইঘাট থানায় গতকাল অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন প্রায়ই তার বড় ভাই সৈয়দ আহমদ এর স্ত্রীকে পাশ^বর্তী বড়বন্দ ৩য় খন্ড গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার পুত্র ফয়ছল আহমদ (৩২) নানা ভাবে উত্যক্ত করত। স্ত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় জয়নাল আবেদীন বিচার প্রার্থী হলে ফয়ছলের পরিবারের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে সে আর কখনো এমন কাজ করবে না বলে জানায়। গতকাল রবিবার বেলা ২টার দিকে জয়নাল আবেদীন বাড়ীর পাশর্^বর্তী মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে এ সুযোগে ফয়ছল আহমদ জয়নালের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখান করলে হুমকি দিয়ে ফয়ছল চলে যায়। স্বামী ঘাস নিয়ে বাড়ীতে আসার পর স্ত্রী সমূহ ঘটনা খুলে বললে কুপ্রস্তাবকারী ফয়ছল এর পরিবারের কাছে জয়নাল আবেদীন বিচার প্রার্থী হলে ফয়সল সহ তাহার ভাইয়েরা উত্তেজিত হয়ে দেশীয় লাঠি-সোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে জয়নাল আবেদীনের বাড়ীতে চড়াও হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তার মাথায় রুইল ও রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় জয়নাল আবেদীনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। জয়নালের পরিবারের অভিযোগ কুপ্রস্তাবকারী ফয়ছল আহমদ এলাকার একজন চিহিৃত বখাটে। সে মাধক ব্যবসার সাথে জড়িত তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হামলার ঘটনায় ফয়ছল ও তার ভাই জাকির, আলমগীর, জয়নাল আহমদ ও খসরুক, আরিফ আহমদকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
