জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করে জাতিকে দায়মুক্ত করতে হবে – বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ

5
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট মহানগর আয়োজিত অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন অতিথিবৃন্দ।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মহামারী করোনার শুরু থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কেউ যেন খাবারে কষ্ট না করে এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দিনমজুর ও শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শোকের মাস আগষ্টেই ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার হয়েছে। এটা জাতির কাছে স্বস্তির। তবে এখনো অনেক খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দ্রুত দেশে এনে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বেনিফিসিয়ারি এবং খুনের সঙ্গে জড়িত জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। কারণ তখন তিনি সামরিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড থাকার পরও কোনো উদ্যোগ নেননি। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনিদের বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে পুনর্বাসন করেছেন। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করে জাতিকে দায়মুক্ত করতে হবে।
৩ দিনের সাংগঠনিক সফরে বুধবার (২৫ আগষ্ট) সকালে ১১টায় সিলেট নগরীর পিটিআই স্কুলে শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে পি টি আই মাঠে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠুর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভয়কে জয় করে করোনা মহামারির শুরু থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারা বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুজিববর্ষ ও শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে প্রিয় নেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ যেন না খেয়ে থাকে- সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক জিয়া বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই সময়ের মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদন্ড দিলেই ২১ আগষ্টে নিহত সকল শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেবামূলক কাজ করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেবার মানসিকতা নিয়েই স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বেনিফিসিয়ারি হয়েছে জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুনর্বাসন করে সে প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। খুনিদের দেশে-বিদেশে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল জিয়া। এখন সময় এসেছে ওই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের বের করার। জাতি এখন জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দেখতে চায়।
অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান মাহবুব, উপ পানি বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদ, সদস্য এড.কামাল উদ্দিন আহমদ,শাহীন আহমদ, মো:দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি