শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা – এডভোকেট মোঃ লুৎফুর রহমান

6
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো: লুৎফুর রহমান।

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বিএনপি- জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারকীড গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন- শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করে নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই হামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী নিহত হন, শেখ হাসিনাসহ আহত হন প্রায় ৩০০জন। আহত অনেক নেতাকর্মী এখনো দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন- ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগষ্ট মূল লক্ষ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর ২১ আগষ্টে মূল লক্ষ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন গ্রেনেড হামলা চালানোর হীনউদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার জোর দাবি জানান।
সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক। কুরআন তেলাওয়াত শেষে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত নেতৃবৃন্দের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান, আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, এড. নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, এড. শাহ মোঃ মোসাহিদ আলী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল এডভোকেট রনজিত সরকার প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, আইন সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শ্রম সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদাল মিয়া, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মনসুর রশীদ, মোঃ জাকির হোসেন, সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি