জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মানববন্ধনে বক্তারা ॥ জাতির পিতার মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান নেই

8
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মানববন্ধন।

২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াত ৪ দলীয় সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। সেদিন দেশের ৬৩ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে ৪শ’ স্পটে প্রায় ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এই হামলায় নিহত হন ২জন এবং আহত হয় দু’শতাধিক মানুষ। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের নির্লিপ্ততায় সে সময় বাংলাদেশে বোমা তৈরি, বোমা বহন, বোমা হামলা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল। খালেদা নিজামীদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী সেসময় বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ জঙ্গিবাদ মুক্ত উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান তার বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সংক্ষিপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন- জঙ্গিরা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় ওঁত পেতে আছে, সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় আর কখনো জঙ্গিবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
সংক্ষিপ্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ নিজাম উদ্দিন (পিপি), এডভোকেট শাহ মোঃ মোসাহিদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল।
মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এড. আজমল আলী, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. ছালেহ আহমদ হীরা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শ্রম সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, আবদাল মিয়া, এড. নুরে আলম সিরাজী, মোঃ জাকির হোসেন, এড. ফখরুল ইসলাম, এড. মনসুর রশীদ, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এদিকে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন আগষ্ট মাস শোকের মাস। আগষ্ট মাসেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার সহ সকল শহীদদের হারিয়েছি। সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহপাক তাদের বেহেশত নসীব করুন। আপনারা জানেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার জন্য এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নিহত করার পরে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম দিকে এক দিনের জন্যও স্বাধীনুা বিরোধী ও তাদের দোষররা জননেত্রীকে শান্তি থাকতে দেয় নাই। প্রিয় নেত্রীর ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করা হয়েছে। এই আগষ্ট মাসেই কয়েকটি হামলা করা হয়েছে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ওপর হামলা। ইব্রাহিম ভাই নিহত হন এবং আমাদের জাকির সহ অনেকেই আহত হন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল আহত নেুৃবৃন্দকে সিলেটে এসে দেখে যান। জঙ্গি গোষ্ঠী ১৭ আগষ্ট সারা দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে। পরবর্তীতে ২১ আগষ্ট জননেত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বোমা হামলা করে। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভি রহমানসহ সহ অনেকেই নিহত হন। আমাদের প্রিয় নেত্রীও সেইদিন কানের মধ্যে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলেন। আজও তাঁর কানের যন্ত্রণা পুরোপুরি সুস্থ হয় নি। মূলত আওয়ামী লীগ সহ দেশের নামি-দামি বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই হামলা করেছিল। তারেক জিয়া, বাবর ও হারিছ চৌধুরী পরিকল্পনা করে এই ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেুৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। আগামী ৫ বছরে দেশ ৪০ তম সমৃদ্ধ দেশের পর্যায়ে পৌঁছাবে। তবে রাজনীতির পথচলায় আমাদেরকে মোনাফেক ও বেঈমানদের চিহ্নিত করতে হবে। সৎ ও স্বচ্ছ নেুাদের মূল্যায়ন করতে হবে। চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাই। আর জঙ্গিবাদ দমনে সবাই সর্বদা সোচ্চার হই। কারণ জাতির পিতার মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান নেই।
মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সকাল ১১ টায় চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর পরিচালনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, নুরুল ইসলাম পুতুল, মোঃ সানাওয়র, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি , সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, উপদেষ্টা কানাই দত্ত।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ নুরুন নেছা হেনা, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ,এমরুল হাসান, সুদীপ দে, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিঃ আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা,জুমাদিন আহমেদ, মাহফুজ চৌধুরী জয়, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল। মহানগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেুৃবৃন্দ মুহিবুর রহমান সাবু, হাজী মোঃ ছিদ্দেক আলী, সালউদ্দিন বক্স সালাই, ফখরুল হাসান ফখরুল, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, তাজ উদ্দিন লিটন, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, এম.এন ইসলাম সহ শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ ও ছাত্রলীগের নেুৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি