তালেবানের হাতে যেসব অস্ত্র আছে

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি বছর তালেবান সরকারি বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করার পর তারা বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি জব্দের ছবি শেয়ার করেছে। এর মধ্যে আক্রমণকারী হেলিকপ্টারসহ সামরিক যান রয়েছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তালেবানদের হাতে কামান পেয়েছে, মনুষ্যবিহীন ড্রোন পেয়েছে। এছাড়া তাদের হাতে রয়েছে বন্দুক, পিস্তল এবং নাইট ভিশন গগুলস।
প্রতিরক্ষা থিঙ্কট্যাঙ্ক রুসির (আরইউএসআই) মতে, তালেবান এসব অস্ত্রের বেশ সংখ্যক আফগান সামরিক ঘাঁটি থেকে জব্দ করেছে, কিছু অস্ত্র পেয়েছে সরকারি সেনাদের পরাজিত করার মাধ্যমে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের হেলিকপ্টার জব্দ অনেক বড় ঘটনা। তবে থিঙ্ক ট্যাংক রুসির রিসার্চ ফেলো ডক্টর জ্যাক ওয়াটলিংক বলছেন, তালেবানের হেলিকপ্টার ব্যবহার করার মতো বিশেষজ্ঞ নেই। আর আফগানিস্তানের যুদ্ধ ক্ষেত্রে এর সামান্য প্রভাব রয়েছে।
তবে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, তালেবানের হাতে বন্দুকের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় এমন যন্ত্র- থার্মাল ইমাজিং, নাইট ভিশন যন্ত্রপাতি যাওয়ার ফলে তারা নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে।
এছাড়া তালেবান এসব অস্ত্র বিদেশে- মধ্য প্রাচ্যে, মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
গবেষক ডক্টর ওয়াটলিং বলেন, যখন অস্ত্রের ব্যাপক সমারোহ থাকবে তখন আরও স্বশস্ত্র সংঘর্ষের সুযোগ থাকবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে এটা দেখা যাবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আফগানিস্তান জুড়ে অস্ত্র ভাসছে। তালেবান যদি দেশের মানুষের দাবিকৃত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম না হয় তাহলে দেশটিতে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
তবে আশার কথা হলো, তালেবান বেসামরিক মানুষদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিচ্ছে। সোমবার তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অসামরিক লোকদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেওয়া শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের সকল ক্ষমতা তালেবানের হাতে কেন্দ্রীভূত থাকবে।