চুনারুঘাটের রাণীগাঁওয়ে জুয়ার আসরে থানা পুলিশের অভিযান

8

চুনারুঘাট থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার এস আই মোতালেব ও এস আই আব্দুর রহিম এবং এ এস আই আব্দুল বাতেন এর নেতৃত্বে একদল থানাপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রাণীগাঁও ইউ/পির পূর্ব পাচারগাঁও করাঙ্গী নদীর পারে জমজমাট জুয়ার আসরে গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান দেখে হাকাজুরা গ্রামের জুয়াড়ী সুরুজ আলী গংরা দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। এ সময় থানা পুলিশ জুয়া খেলার সরঞ্জাম চট উদ্ধার ও জুয়ার আসর সংলগ্ন এলাকা থেকে জুয়াড়ী সুরুজ আলীর অ্যাপাচি মোটর সাইকেলসহ ২টি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ মিয়া ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তার পুত্র জুয়াড়ী সুরুজ আলী গংদের আটককৃত মোটর সাইকেল দুটি জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন সুরুজ আলীর তালই আব্দুল মালেক। এ নিয়ে রাণীগাঁও এলাকায় সচেতন মহলের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার দারোগা বাতেন জানান, আমাদের অভিযান দেখে জুয়াড়ীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। জুয়ার আসর থেকে সরঞ্জাম ১টি চট উদ্ধার করি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে ২টি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ মিয়া ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোটর সাইকেল ২টি জিম্মায় নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যেখানেই জুয়ার আসর সেখানেই আমাদের থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী বা জুয়াড়ী যে কেউ হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সুরুজ আলী জানান, আমি এ খেলায় ছিলাম না। আমার মোটর সাইকেলটি কাউছার নিয়েছে। ইদানিং রাণীগাঁও ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে জুয়া খেলার আসর। এতে সচেতন মহল পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন মনে করেন নতুবা যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।